রাজনীতি
সংলাপ-সমঝোতা না হলে ৩ দিন লাগাতার হরতাল
শীর্ষবিন্দু নিউজ: নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের প্রস্তাব নিয়ে সরকার সংলাপের উদ্যোগ না নিলে রোববার থেকে সারা দেশে তিন দিন টানা হরতালের কর্মসূচি করেছেন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া। শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৮দলীয় জোটের জনসভায় তিনি এই প্রাথমিক কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আগামীতে নির্বাচিত হলে বিএনপি কী কী করবে, তারও বিবরণ দেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
জুমার নামাজের পর অন্যান্য শরিক দলের নেতাকর্মীরাও দলে দলে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। বেলা ৩টার মধ্যে মঞ্চের আশ-পাশ এবং মৎস্যভবন-শাহবাগ-হাইকোর্ট সড়কে কয়েক হাজার মানুষ সমবেত হয়। বৃষ্টিতে উদ্যানের অনেক জায়গায় কাদা হয়ে যাওয়ায় অনেককেই পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। আধা ঘণ্টার বক্তব্যে বিরোধী দলীয় নেতা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী নির্বাচন নিয়ে দলীয় অবস্থান তুলে ধরেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, দলীয়করণ, অপশাসনসহ ব্যর্থতার নানা অভিযোগ আনেন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে খালেদা বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সরকারকে দুই দিন সময় দিলাম। আজ ও কালকের মধ্যে যদি আলোচনার ব্যবস্থা না করেন। এরপর কয়েক সেকেন্ড নিরব থেকে নাটকীয়তার আবহ তৈরি করেন খালেদা। মঞ্চের সামনের অংশে বসা জামায়াত-শিবির ও বিএনপি কর্মীরা এ সময় হরতাল.. হরতাল বলে শ্লোগান শুরু করেন। বিরোধী দলীয় নেতা বলছেন, আমরা প্রাথমিক কর্মসূচি দিচ্ছি। ২৭ অক্টোবর রবিবার ভোর ৬টা থেকে ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে হরতাল পালিত হবে। বিরতিহীনভাবে এই হরতাল চলবে। এরপরও সরকারের বোধদয় না হলে আরো কঠিন কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাদেক হোসেন খোকা‘র সভাপতিত্বে বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ও মহানগর সদস্য সচিব আবদুস সালাম পরিচালনা আয়োজিত আজকের জনসভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আ স ম হান্নান শাহ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, সহসভাপতি শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এম এ মান্নান,শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মাহবুবউদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সাংসদ আবুল খায়ের ভুঁইয়া, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সাবেক সাংসদ খায়রুল কবীর খোকন বক্তব্য দেন।
এছাড়াও ১৮ দলীয় জোটের শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি অলি আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর আলহাজ মকবুল আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমীর মাওলানা সৈয়দ মজিবর রহমান, এনপিপির সভাপতি শেখ শওকত হোসেন নিলু, এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মূর্তজা, জমিয়তে উলামা ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম জনসভায় বক্তব্য দেন।