শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: রোহিঙ্গা নির্যাতন নিয়ে মুখ খুললেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কিশোরী মালালা ইউসুফজাই।
তিনি জানালেন, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আরেক নারী, অগ্রজ অং সান সুচির পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা নির্যাতনের নিন্দার জন্য এখনও অপেক্ষায় আছেন তিনি।
রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে তা বন্ধের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন মালালা। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে লজ্জাজনক আচরণ করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় অগ্রজ নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ও গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচি এ জন্য নিন্দা জানাবেন এমন প্রত্যাশায় তিনি এখনও অপেক্ষা করছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
মালালা ইউসুফজাই টুইটারে লিখেছেন, বিশ্ববাসী ও রোহিঙ্গা মুসলিমরা এই নৃশংসতায় অং সান সুচির পক্ষ থেকে নিন্দা আশা করছেন। মালালা প্রশ্ন রাখেন, রোহিঙ্গারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম বসবাস করছেন মিয়ানমারের রাখাইনে।
তাদের (রোহিঙ্গা) দেশ যদি মিয়ানমার না হয়, তাহলে তাদের দেশ কোনটি? এ সময় তিনি দাবি জানান, মিয়ানমারের এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের নাগরিকত্ব দিতে হবে।
তিনি বাংলাদেশের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পাকিস্তান সহ অন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। বলেন, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে।
মিয়ানমারে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার প্রতি নৃশংসতা নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন অং সান সুচি। এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি কথা না বলায় পশ্চিমারা তার তীব্র সমালোচনা করছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয় অং সান সুচিকে। তিনি বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের জন্য লড়াইরত নেত্রী হিসেবে পরিচিত। কিন্তু শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া এই নেত্রী এবার রোহিঙ্গা নির্যাতনে মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
উল্টো তিনি পক্ষ নিয়েছেন সেনাবাহিনীর। ওদিকে বাংলাদেশে যেসব দাতব্য সংস্থা বা ত্রাণকর্মীরা আছেন তারা বলছেন, শরণার্থী শিবিরগুলো পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। এখন আর শরণার্থীকে ঠাঁই দেয়ার মতো