কাফি কামাল: নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের শেষ সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮দল। জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশন শেষ হচ্ছে আগামী ২৪শে অক্টোবর। এ অধিবেশনে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা বহাল না করলে চূড়ান্ত আন্দোলনে যাবে বিরোধী দল। রংপুর, রাজশাহী, খুলনার পর সিলেটের জনসভায় এমন ঘোষণা দিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
একদলীয় নির্বাচন প্রতিহত করতে ভোটকেন্দ্র ভিত্তিক সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি গঠনের নির্দেশনাও দিয়েছেন সিলেটের জনসভা থেকে। বিরোধী দলের রয়েসয়ে চলা নীতির কারণে এতদিন আন্দোলনের গতিপথ নিয়ে অনেকটাই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। কিন্তু খালেদা জিয়ার এ নির্দেশনার পর রীতিমতো সাড়া পড়ে গেছে তৃণমূলে। ইউনিয়ন থেকে উপজেলা নেতারা জেলা ও কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। কবে থেকে এ কমিটি গঠন শুরু হবে তা নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে সাধারণ মানুষেরও। তবে এখনই সে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে না ১৮ দল।
বিরোধী নেতারা বলছেন, নির্বাচনের সঙ্গে এ সংগ্রাম কমিটির সম্পর্ক। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দল নির্বাচনে অংশ নিলে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। একদলীয় নির্বাচনের উদ্যোগ নিলে তা প্রতিহত করতে হবে। তাই ঈদুল আজহার পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার একদলীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলেই গঠন করা হবে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি। বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলা শাখার একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
এদিকে গত রাতে দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দলীয় সূত্র জানায়, আন্দোলন, সংগ্রাম কমিটি গঠন এবং নির্বাচনের ত্রিমুখী প্রস্তুতি নিয়ে সাংগঠনিক সম্পাদকদের নির্দেশনা দেবেন তিনি। ওদিকে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকালও স্বেচ্ছাসেবক দলের বর্ধিত সভায় নির্বাচনমুখী নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেছেন, এই মুহূর্তে মনোনয়নের চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিন। ছোটখাটো দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করে এই সরকারকে সরাতে হবে। বিরোধী নেতা একদলীয় নির্বাচন ঠেকাতে সারাদেশে কেন্দ্রভিত্তিক যে সংগ্রাম কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন তার প্রস্তুতি নিন।
জোটের শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতিক বলেন, ১৮দল নেত্রী খালেদা জিয়া সরকার ও দেশের জনগণের প্রতি একটি বার্তা দিয়েছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের তিনি যে সংগ্রাম কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন সেটা প্রস্তুতিমূলক। আগামী ২৫শে অক্টোবর পর্যন্ত তিনি মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- ২৫শে অক্টোবর তিনি নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা করবেন। তার সে ঘোষণা আসুক। কারণ নির্বাচনের সঙ্গেই সংগ্রাম কমিটি সম্পর্ক। তাই সরকার একদলীয় নির্বাচন করতে বন্ধপরিকর হলে কমিটি গঠন শুরু হবে।
বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, বিএনপিসহ জোটের নেতাকর্মীদের প্রতি সর্বদলীয় কমিটি গঠনে খালেদা জিয়ার প্রকাশ্য এ আহ্বান তৃণমূল নেতৃত্বে সাড়া ফেলেছে। সাধারণ মানুষও কৌতূহলী হয়ে উঠেছে। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে এখনও কোন নির্দেশনা আসেনি। তিনি বলেন, ২৪শে অক্টোবর ডেডলাইন ধরে এগোচ্ছে বিরোধী দল। এরই মধ্যে সরকারের পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করবে ১৮ দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। তবে নেত্রীর আহ্বানে সবাই সার্বিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।
নওগাঁ জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শামসুজ্জোহা বলেন, সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার স্বার্থে যে কোন একদলীয় নির্বাচন প্রতিহত করতে হবে। দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে সাড়া পড়েছে। ঈদের পর আমরা জোটের নেতাদের সঙ্গে বসে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরু করবো। বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, আগামী ২২শে অক্টোবর বরিশালে বিএনপি চেয়ারপারসন ও ১৮ দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার জনসভা। এ মুহূর্তে আমরা জনসভার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি।
তিনি বলেন, একদলীয় নির্বাচন প্রতিহত করতে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি গঠনের ডাক দিয়েছেন খালেদা জিয়া। তার এ আহ্বান তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করেছে। জনসভার পর ১৮ দলীয় নেতাদের সঙ্গে বসে আমরা তার এ আহ্বান ও পরবর্তী নির্দশনা অনুযায়ী কাজ শুরু করবো। এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, দলীয়ভাবে আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি। প্রতিটি এলাকায় সংগ্রাম কমিটিতে আমাদের নেতাদের নাম জমা দেয়া ও কার্যক্রমের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আশা করছি, ঈদের ছুটির মধ্যে প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। ঈদের পর জোটের শীর্ষ নেত্রী চূড়ান্ত নির্দেশ দিলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কমিটি গঠন ও কার্যক্রম শুরু হবে।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ বলেন, ভোটকেন্দ্র ভিত্তিক সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি গঠনের বিষয়টি দলের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি বিরোধী নেতার একটি নির্দেশনা। নেতাকর্মীদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতেই তিনি এ নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু নির্বাচনের সঙ্গেই এ সংগ্রাম কমিটির সম্পর্ক। তাই সরকার একদলীয় নির্বাচনের উদ্যোগ নিলে ১৮দলের তৃণমূল নেতারাও প্রতিরোধের উদ্যোগ নেবে।
তিনি বলেন, ফরিদপুরে আমার নির্বাচনী এলাকায় ইতিমধ্যেই আমরা ওয়ার্ড পর্যায়ে কর্মী-সমর্থকদের সংগঠিত করছি- যাতে সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন হলে কেন্দ্র পাহারা দেয়া ও একদলীয় নির্বাচন হলে প্রতিহত করা যায়। জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সহ-সভাপতি সৈয়দ সাদাত আহমেদ জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। সবাই যোগাযোগ করছেন কবে থেকে কমিটি গঠন শুরু হবে। আমরা আপাতত সবাইকে মানসিক প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে ঈদের ছুটির মধ্যে জোটের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে প্রাথমিক প্রস্তুতিও সেরে নেয়া হবে। যুবদলের সহ-সভাপতি ও গোপালগঞ্জ বিএনপির সদস্য সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, নির্বাচনের জন্য অবশ্যই কমিটি করতে হবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে কেন্দ্র পাহারা দেয়া ও একদলীয় হলে প্রতিহত করতে সংগ্রাম কমিটির বিকল্প নেই। কিন্তু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ওপর নির্ভর করছে এ কমিটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা।
মনোনয়ন নয়, সংগ্রাম কমিটি গঠনের প্রস্তুতি নিন: ফখরুল
এখন মনোনয়নের চিন্তা বাদ দিয়ে সরকার হটানোর জন্য সংগ্রাম কমিটি গঠনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে মনোনয়নের চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিয়ে দেন। আগে এই ফ্যাসিস্ট সরকার হটানোর জন্য তৈরি হোন। ছোট-খাটো দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে এই সরকারকে সরাতে হবে। বিরোধী নেতা একদলীয় নির্বাচন ঠেকাতে সারা দেশে কেন্দ্রভিত্তিক যে সংগ্রাম কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন তার জন্য প্রস্তুতি নিন। গতকাল বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক দলের বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, অতীতের মতো এবারও বিএনপিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কৌশলে দলের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ হতে হবে। মানুষ বিএনপির ওপর আস্থা রাখছে, জনগণের সেই আস্থার প্রতিদান দিতে হবে। নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে তিনি বলেন, পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয় বিএনপির জন্য কাল হয়েছে। কারণ এরপর সরকার বুঝে গেছে, তারা আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাই সরকার বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার সব ধরনের কলাকৌশল করছে। সে কারণেই তারা শুরুতে সংবিধান সংশোধন করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে।
সংসদে তথ্যপ্রযুক্তি আইন পাসের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা আলমগীর বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনটি অত্যন্ত ঘৃণিত ও বিবর্তনমূলক। এটি মুক্ত চিন্তার বিরোধী। এছাড়া যে সমপ্রচার নীতিমালা করা হয়েছে তাতে কোন অনলাইন পত্রিকা চলতে পারবে না। তাই এই আইনটি হতে পারে না। অবিলম্বে আইনটি বাতিলের দাবি জানান তিনি। বিএনপির এ নীতিনির্ধারক নেতা বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তির সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ জনগণের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা ফ্যাসিবাদ সরকারকে সরানো। এই পাথরের নিচ থেকে জাতিকে টেনে তুলতে হবে। তিনি বলেন, গোটা জাতি আজ পরিবর্তনের আশায় উন্মুখ হয়ে আছে। তারা আশা করছে, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পাবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি সংবিধানে সংশোধন হবে।
মির্জা আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যখন বুঝতে পেরেছে আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে নিজেরা বিজয়ী হতে পারবে না, ঠিক তখন সংবিধান পরিবর্তন করে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন দিতে চায়। ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন হয়’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে অর্থনীতিতে ধস নামে, খুন, গুম, সন্ত্রাসের নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়। প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের যে ফিরিস্তির কথা বলছেন বাস্তবে তার উল্টো। সংগঠনের সভাপতি হাবীব-উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির হোসেন, সাইফুল ইসলাম পটু, মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আলী রেজাউল রহমান, উত্তরের আহবায়ক ইয়াসিন আলী, ঢাকা বিভাগের আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান শাহীন, চট্টগ্রামের আহ্বায়ক এস কে খোদা তুতন, খুলনার আহ্বায়ক আজিজুল হাসান দুলু, সিলেটের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শাসুজ্জামান জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বর্ধিত সভায় ৭৫টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়কসহ পাঁচ শতাধিক নেতা অংশ নেয়। বর্ধিত সভায় সংগঠনের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা, নির্দলীয় সরকারের দাবিতে চলমান আন্দোলন সফল করার বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ এবং সংগঠনের গঠনতন্ত্রের খসড়া প্রণয়ন করা হয়।
দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সমালোচনা করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিচ্ছেন। ভারতের ভূখণ্ডে সুন্দরবনের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের কোন পরামর্শ নেয়া হয়নি। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতিবাদকারীদের প্রধানমন্ত্রী জ্ঞানপাপী বলেছেন। তিনি দেশের স্বার্থের কথা চিন্তা না করে নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখেছেন। সরকার বিরোধী দল নিধনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, টাঙ্গাইলের মধুপুর, ধনবাড়ী ও কুড়িগ্রামে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়েছে। টাঙ্গাইলের মধুপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। মেয়র সরকার শহীদসহ ১৭০ জন নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। তিনি বলেন, মিথ্যা মামলার ভয়ে টাঙ্গাইলের শ’ শ’ বিএনপি নেতাকর্মী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনীর কবলে পড়ে ধনবাড়ী এখন বিএনপি-শূন্য হয়ে পড়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান, সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: মানবজমিন