শীর্ষবিন্দু নিউজ: হোয়াইট হাউসে যখন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের গণতান্ত্রিক সংস্কারকে বাহাবা দেয়া হচ্ছে সেই একই সময় সেখানে থেকে মাত্র কয়েক ব্লক দূরে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে বৌদ্ধপ্রধান দেশটিতে রোহিঙ্গা মুসলিমদের লাঞ্ছনার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ট রাখাইনদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় এ পর্যন্ত প্রায় আড়াইশ’ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন, প্রায় আড়াই লাখ রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের অন্যতম ল্যান্ডমার্ক হলোকাস্ট মিউজিয়ামে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে বলে দ্য ডন জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফটোগ্রাফার গ্রেগ কন্সটানটাইন সাদা-কালো ছবিতে প্রাণঘাতী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের পুড়ে যাওয়া বাড়িঘরের ছবি তুলে এনেছেন। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকার করেছে মিয়ানমার। রোহিঙ্গাদের প্রতিবেশি বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে দেখা হয় দেশটিতে। রোহিঙ্গাদের ছবি তুলতে কন্সটানটাইন সাত বছর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে ছিলেন। দুটি দেশের সীমান্তের উভয় পাশের রোহিঙ্গাদের ছবি তুলেছেন তিনি।
এ বিষয়ে কন্সটানটাইন বলেন, মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক উন্নয়ন নিয়ে অনেক আলোচনা, অনেক কথাবার্তা বলা হলেও রোহিঙ্গাদের এই ট্র্যাজেডির দিকে কেউ নজর দিচ্ছে না। এটি খুব পীড়াদায়ক। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তহবিলে পরিচালিত হলোকাস্ট মিউজিয়াম বিশেষভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ইহুদিদের বিরুদ্ধে চালানো হলোকাস্ট তথা গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে তৈরি করা হয়েছে। তবে এখানে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় পরবর্তী সময়ে যেসব গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে সেগুলোরও প্রদর্শনী করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে বসনিয়া, রুয়ান্ডা ও সুদানের গণহত্যা অন্যতম।
মিউজিয়ামের গণহত্যা প্রতিরোধ কেন্দ্রের পরিচালক মিশেল আব্রামোভিচ বলেন, আমরা বলছি না যে, মিয়ানমারে গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে। আমরা দুটি পরিস্থিতিকে এক করে দেখছি না। মানবজাতির ইতিহাসে গণহত্যা ছিল একটি নজিরবিহীন ঘটনা। তবে আমরা যা করছি তা হলো, আমাদের সম্পদ ব্যবহার করে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ যেন না হয় তা নিশ্চিত করার চেষ্ট করা বলেন তিনি।