বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট চরমে সিলেট। এরইমধ্যে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। থৈ থৈ পানিতে ভাসছে সিলেট। এই অবস্থায় বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে না মানুষজন।
কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটের অনেক এলাকায় মানুষ বন্যার পানি খেয়ে বসবাস করছেন। তাদের কাছে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। নতুন করে ওসমানীনগর, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, বিশ্বনাথ, দক্ষিণ সুরমা এলাকা প্লাবিত হওয়ার কারণে বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
সিলেট শহরেও পানির সঙ্কট চরমে। নগরের উপশহর, যতরপুর, ঘাষিটুলা, বেতের বাজার সহ কয়েকটি এলাকার পানিবন্দি মানুষের মধ্যে খাবারের পাশাপাশি পানি সঙ্কট রয়েছে দু’দিন ধরে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়েছে। নগরের কিছু কিছু ডিপ টিউবওয়েলের পানিতে গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
তবে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করতে দেখা গেছে। এই পানি পর্যাপ্ত নয়। এজন্য বন্যার্তদের দাবি পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট। টিউবওয়েলও পানিতে ডুবে গেছে। এ কারণে মানুষের মধ্যে সঙ্কট আরো প্রকট হচ্ছে।
কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, সিলেট সদরে অনেক এলাকায় ঘরবন্দি মানুষজনকে নৌকা নিয়ে কলস ভর্তি করে পানি আনতে দেখা যায়। এতে করে দুর্ভোগ বেড়েছে। দুপুরের দিকে প্রশাসনের তরফ থেকে বিশুদ্ধ পানির একটি গাড়ি পাঠানো হয়েছিলো কোম্পানীগঞ্জে। সেখানে পানি সংগ্রহ করতে লোকজনের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সিলেটের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানিয়েছেন- পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি। এ কারণে আমরা সিলেট ও সুনামগঞ্জে ইতিমধ্যে ৩ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পাঠিয়েছি। এছাড়া দুই জেলার প্রায় ২২৬টি মেডিকেল টিমের সঙ্গে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দেওয়া আছে। তিনি বলেন- পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট আরো আনা হচ্ছে।
সিলেট জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন জন্মোজয় দত্ত জানিয়েছেন- সিলেট জেলায় ১০৩টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে বন্যার্তদের মধ্যে পানি বিশুদ্ধকরণের প্রক্রিয়ার বিষয়টি অবগত করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দেওয়া হচ্ছে। মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন- বন্যায় ডিপ টিউবওয়েলের পানি ফুটিয়ে পান করা জরুরি। আমরা নগরে পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট বিতরণ করেছি।
Leave a Reply