সিলেটে কুরবানির পশুর হাটের চিত্র এবার ভিন্ন। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কারণে পাল্টে গেছে কুরবানির পশুর হাট বাজারের চিত্র।
পবিত্র ঈদুল আযহার আগের দিনও পুরোদমে জমে উঠতে পারছে না পশুর হাট। শনিবার বিকেল পর্যন্তও সিলেটের বিভিন্ন হাটে পশু বিক্রেতার চাইতে ক্রেতা কম দেখা গেছে। তবে রাতে বেচাকেনা বাড়তে পারে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কাজিরবাজারের মতো অবস্থা সিলেটের ৬টি অস্থায়ী পশুর হাটেও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন- বন্যার কারণে এবার ক্রেতা কম। সে হিসেবে কোরবানির পশুর দাম কম হওয়ার কথা ছিল।
পশুর হাটটি ঘুরে দেখা গেছে, এবার বন্যার কারণে বাইরের জেলা থেকে বেপারিরা তেমন গরু নিয়ে আসেননি। আর সীমান্ত ঘেষা সিলেটে ভারত থেকেও গরু নামেনি এবার। ফলে বাজার চলছে দেশি ও খামারিদের গরুর ওপর ভর করে।
বাজার কর্তৃপক্ষ বলছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কাজিরবাজার প্রায় ক্রেতাশূন্য ছিলো। শুক্রবার একটু ক্রেতাসমাগম হয়েছে। তবে শনিবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত ফের বাজারে ক্রেতা কম। মাঝারি থেকে শুরু করে বড় গরু দেখা গেলেও বিক্রেতারা দাম হাঁকাচ্ছেন বেশি। রাতে বাজার জমে উঠার আশা করছেন তারা।
অপরদিকে সিলেট নগরীর ৬টিসহ জেলায় সর্বমোট ৪৬টি স্থায়ী-অস্থায়ী হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে। একটা সময় অস্থায়ী বৈধ হাটের পাশাপাশি পুরো শহর অবৈধ হাটে রূপ নিতো। এবার সেই দৃশ্য খুবই কম। বৈধ হাটগুলোতেই কম গরুর সংখ্যা।
কিন্তু দেশি ও ফার্মের গরুর বাইরে অন্যান্য অঞ্চল থেকে তেমন গরু আসেনি। আর ভারত থেকে সীমান্ত দিয়ে গরু আসতো সিলেটের বাজারগুলোতে। এবার ভারতের গরু নেই। বড় গরু বলতে ফার্মের। তাই দাম বেশি। বাজারে মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা বেশি।
এদিকে, পশুর হাটের নিরাপত্তায় প্রস্তুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের জানান, কোরবানির হাটের নিরাপত্তায় পুলিশ সর্বদা সতর্ক রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
শনিবার বিকেলে সিলেট নগরীর প্রধান পশুর হাট কাজিরবাজার ঘুরে জানা যায়, গতকাল (শুক্রবার) বিকালে এ বাজার কিছুটা ক্রেতামুখর হলেও শনিবার সকাল থেকে তেমন ক্রেতা নেই। ওই বাজারে গরুর দাম বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
Leave a Reply