পূর্ব লন্ডনের শ্যাডওয়েলে আগুনে পুড়ে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। নিহত মিজানুর রহমান (৪১) মাত্র ১৪দিন আগে জীবিকার সন্ধানে লন্ডনে গিয়েছিলেন।
এ ঘটনায় বাংলাদেশিসহ আহত হয়েছেন আরও ২৩ জন। মিজান বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে লন্ডনের রয়্যাল হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহতের বাবা আবদুর রব মেম্বার বলেন, মিজানুর রহমান দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন। ২০১৯ সালের প্রথম দিকে দেশে আসে মিজান। এরপর থেকে সে বাড়িতে ছিল। ধারদেনার মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা জোগাড় করে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশ থেকে লন্ডনে যায় সে।
পূর্ব লন্ডনের শ্যাডওয়েলের ম্যাডক হাউসে অন্য বাংলাদেশিদের সঙ্গে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন মিজান। গত শনিবার রাতে কাজ শেষে বাসায় ফিরে অন্যদের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে তিনি।
রাত ১২টার দিকে বাসায় একটি মোটরচালিত সাইকেলের ব্যাটারি প্রথমে বিস্ফোরণ হয়। ব্যাটারির আগুন ছড়িয়ে বাসার গ্যাস সিলিন্ডারে লাগলে সেটিও বিস্ফোরণ হয়ে পুরে বাসায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এতে ঘরে থাকা মিজান সহ ২৪জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে লন্ডনের রয়্যাল হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মারা যান তিনি।
মিজানের অকাল মৃত্যুতে তার দেশের বাড়ি সেনবাগে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায়মা খাদিজা আক্তার খুকি, মিজানের ছেলে ইরফানুর রহমান রাফি ও মেয়ে নুসরাত জাহান সুরাইয়া। দ্রুত মিজানুর রহমানের লাশ দেশে আনার বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেতার পরিবার।
নিহত মিজানুর রহমান নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামের আবদুর রব মেম্বারের ছেলে। তিন ভাই তিন বোনের মধ্যে মিজান ছিলেন দ্বিতীয়। এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক তিনি।
Leave a Reply