চীন সরকার দেশটির খাদ্য সরবরাহ নিরাপদ করার উপায় খুঁজছে। চীনা স্টার্ট-আপ সেলএক্স চলতি সপ্তাহে সাংহাইতে প্রথম ল্যাবে মাংস উৎপাদনের কারখানা চালু করেছে। আরটি
চীনে ১.৪ বিলিয়ন মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশটির সরকার এধরনের উদ্যোগ নিয়েছে।
সেলএক্সের প্ল্যান্টে একটি ২,০০০-লিটার বায়োরিয়্যাক্টর রয়েছে যার ক্ষমতা প্রতি বছর ‘সিঙ্গেল-ডিজিট টন’ চাষ করা মাংস উৎপাদন করা যাবে। কারখানাটিতে শীঘ্রই আরও বায়োরিয়্যাক্টর বসানো হবে।
সেলএক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও জিলিয়াং ইয়াং-এর মতে, পাইলট প্ল্যান্টটি বড় আকারের মাংস উৎপাদনের আগে চাষ করা মাংসকে রাতের খাবার টেবিলে আনার একটি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
ইয়াং চায়না মর্নিং পোস্টকে বলেন, এই পাইলট প্রকল্পে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা বাণিজ্যিক উৎপাদন সুবিধার জন্য ব্যবহার করা হবে যা আমরা ২০২৫ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ উৎপাদনের যাওয়ার পরিকল্পনা করছি। এবং তখন প্রতি বছর শত শত টন মাংস উৎপাদন করতে সক্ষম হবে।
এশিয়ার বৃহত্তম মাংস খাওয়া দেশগুলির মধ্যে একটি, চীন তার জনসংখ্যাকে খাওয়ানো এবং আমদানির উপর নির্ভরতা কমানোর জন্য প্রাণীজ প্রোটিনের টেকসই উৎস খুঁজে বের করার জন্যে ল্যাবে মাংস তৈরির উদ্যোগ নেয়।
১৯৭০ এর দশক থেকে চীনে মাংসের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পরবর্তী দশকে তা আরও বাড়তে পারে।
গত বছর বেইজিং জৈব-অর্থনীতির জন্য তার ১৪তম পঞ্চবার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ল্যাবে মাংস তৈরির পাশাপাশি সিন্থেটিক প্রোটিনের বিকাশের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়।
ইয়াং-এর মতে, ল্যাবে তৈরি মাংস বাজারে এলে মাংসের দর কমে যাবে। বাজারে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে। ২০২৫ সালে ল্যাবে মাংস তৈরির একটি বাণিজ্যিক উৎপাদন সুবিধা চালু হলে খরচ আরও কমবে।
ল্যাবে চাষকৃত মাংস সরাসরি পশু কোষ থেকে উৎপাদিত হয়, যা খাদ্যের জন্য প্রাণীদের লালন-পালনের বাধ্যবাধকতা নেই। সিঙ্গাপুর ছিল প্রথম দেশ যারা ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ল্যাবে তৈরি মাংস বিক্রির অনুমতি দেয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তা অনুসরণ করে।
Leave a Reply