বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে প্রচুর অর্থ সম্পদ বানিয়েছে। জনগণ কিছু না পেলেও তারা মানি লন্ডারিং করে প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তাদের কারণেই দেশে ইমার্জেন্সি হলো। লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনায় এ কথা বলেছেন।
সোমবার (২ অক্টোবর) লন্ডনের স্থানীয় সময় বিকালে সেন্ট্রাল লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার এলাকার ম্যাথডিস্ট চার্চ হলে আয়োজিত সংবর্ধনায় তিনি আরো বলেন, আমাকেই প্রথম জেল খাটতে হলো। তারা আন্দোলন করুক, আমাদের কোনও আপত্তি নেই।
অগ্নি সন্ত্রাস করে মানুষকে হত্যা আর দেশের সম্পদ ধ্বংস করাই বিএনপির আন্দোলন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। আন্দোলনের নামে তারা যদি দেশের মানুষকে আবার অত্যাচার করতে চায় তাহলে তাদের কোনও ছাড় নেই। যে কোনও মূল্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখার কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক। সংবর্ধনা সভায় যোগ দিতে আগে থেকেই জড়ো হতে শুরু করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। লন্ডনের বাইরের দূরদূরান্তের শহর ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকেও এই সভায় যোগ দিতে আসেন অনেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে গত ১৭ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন এবং অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখান থেকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছান তিনি। ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানের সময় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনায় যোগ দেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন তিনি।
গত শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমান হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম তাকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার লন্ডন সময় রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে (বিজি-২০৮) লন্ডন ত্যাগ করবেন। ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ বিষয়ক সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের (এপিপিজি) চেয়ার এবং বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী ড. রুশনারা আলী এমপির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানস্থল হোটেল তাজে গিয়ে সাক্ষাৎ করে।
এছাড়াও এফডিসিও প্রতিমন্ত্রী লর্ড আহমেদ অব উইম্বলডন, হিন্দুজা গ্রুপের চেয়ারম্যান গোপীচাঁদ হিন্দুজা, হিন্দুজা গ্রুপ ইউরোপের চেয়ারম্যান প্রকাশ পি হিন্দুজা, অশোর লিলেন্ডের চেয়ারম্যান অশোক হিন্দুজা ও ধীরাজ হিন্দুজাসহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেছেন।
১৭ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনে যোগ দেন। উচ্চ-পর্যায়ের পক্ষ ও দ্বিপাক্ষিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেওয়া সংবর্ধনায় যোগ দেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন তিনি।
Leave a Reply