রাজধানী শহর লন্ডনে ডেলিভারু, জাস্ট-ইট ও উবার এই তিনটি কোম্পানিকে কেন্দ্র করেই হাজার হাজার ডেলিভারিম্যান দিনরাত কাজ করছেন। অনেক সহজ পদ্ধতিতে ভালো অ্যামাউন্টের অর্থ আসে প্রতি সপ্তাহে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিটি শহরে অতিমাত্রায় বেড়েছে ইলেক্ট্রিক সাইকেলে করে ফুড ডেলিভারি জব। রাস্তায় চোখ পড়লেই সাইকেলে ফুড ডেলিভারি দিচ্ছেন এমন দৃশ্য দেখা যায় অহরহ।
বিশেষ করে গত দুই বছরে যারা কেয়ার ও স্টুডেন্ট ভিসায় এসেছেন তারা চাকরি বিড়ম্বনার শিকার হয়ে এই ডেলিভারি কাজকে বেছে নিয়েছেন।
যাদের কাজের অনুমতি নেই, তারা অনেকেই এতে সম্পৃক্ত হয়েছেন। এদের অনেকেই সফটওয়্যার ভাড়া করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ রকম রাইডারদের বিপদে পড়তে হচ্ছে প্রায়শই।
বিশেষ করে লন্ডনের রাস্তায় হঠাৎ করেই মুখোমুখি হতে হয় ইমিগ্রেশন ও পুলিশ চেকিংয়ে। অনেকেই ধরা পড়েন, দিতে হয় জরিমানা। অ্যাপস ভাড়া দেয়া ব্যক্তিও বিপদের সম্মুখীন হন। ট্রাফিক আইন ভঙ্গের কারণে সম্প্রতি অভিযানে নেমেছে লন্ডন পুলিশ।
তাছাড়া, সাইকেল রাইডাররা মানছেন না ট্রাফিক আইন, হাঁটার রাস্তায় চালাতে থাকেন সেজন্য বিপদে পড়তে হয় পথচারীকে। অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটছে।
এনিয়ে ডেলিভারি রাইডারদের প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিয়ন আইডব্লিউজিবি বলেছে, ডেলিভারু এবং জাস্ট-ইট এর মতো কোম্পানি যেভাবে মজুরি দেয় তার কারণেই বিপজ্জনক গতিতে এবং অনেক সময় মানুষের পায়ে হাঁটার রাস্তায় সাইকেল চালিয়ে ডেলিভারি দিতে যায় এসব রাইডাররা।
ডেলিভারি রাইডাররা ঘণ্টার হিসাবে মজুরি পায় না, পায় প্রতি ডেলিভারি হিসাবে। ফলে যত বেশি ডেলিভারি দেয়া যায় ততো বেশি উপার্জন সম্ভব হয়।
এ কারণেই বিপজ্জনক গতিতে অনেক ডেলিভারি রাইডার সাইকেল চালান। কিন্তু সাইকেল চালাতে গিয়ে আইন ভঙ্গ করা বিপজ্জনক হতে পারে।
জাস্ট ইট, ডেলিভারু ও উবার-ইটস বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা আইন ভঙ্গ করাকে সমর্থন করে না, উৎসাহিতও করে না।
তারা নিরাপদে সাইকেল চালানোর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে এবং বিপজ্জনক সাইকেল চালানোর অভিযোগগুলো তারা তদন্ত করে দেখছে।
দ্রুত গতিতে চালানোর উদ্দেশ্যে ই-বাইক মোডিফাই করা অপরাধ নয়, যদি তা ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় চালানো হয়। কিন্তু জনগণের ব্যবহারের রাস্তায় চালানোর জন্য ই-বাইক মোডিফাই করা বৈধ নয়।
সিটি অব লন্ডন পুলিশ এখন আইন ভঙ্গকারী ই-বাইকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।
Leave a Reply