ব্রিটেনের বিল্ডিং সেফটি মিনিস্টারের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন রুশনারা আলী এমপি। শনিবার রাতে এ ঘোষণা আসে।
লন্ডনের আলোচিত গ্রেনফেল টাওয়ার অগ্নিকাণ্ডে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা রুশনারাকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান যখন তিনি এই অগ্নিকাণ্ডের তদন্তের সময় সমালোচিত সংস্থাগুলির একটি দ্বারা স্পনসর করা সম্মেলনে যোগদান করতে গিয়েছিলেন।
তবে, একটি পোর্টফোলিও ছাড়লেও সরকারের মন্ত্রী হিসেবে যথারীতি দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। রুশনারা তার অধীনে থাকা দায়িত্বগুলোর একটি থেকে সরে দাঁড়ালেও তিনি ব্রিটেনের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
দ্য সানডে টাইমস অনুসারে, গ্রেনফেল ইউনাইটেড হলো এই অগ্নিকাণ্ডে বেঁচে যাওয়া এবং শোকাহত পরিবারের প্রতিনিধিত্বকারী একটি দল। এই দলের পক্ষ থেকেই রুশনারা আলীকে অপসারণের দাবি তোলা হয়।
রুশনারা এক বিবৃতিতে বলেছেন, মন্ত্রী এবং গ্রেনফেল টাওয়ারের ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিশ্বস্ত সম্পর্ক এই বিভাগের জন্য অপরিহার্য। তাই আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে বিল্ডিং সেফটি পোর্টফোলিও অন্য মন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।
দ্য সানডে টাইমস মোতাবেক, রুশনারা ফ্রাঙ্কো-ব্রিটিশ কলোকের বার্ষিক ফোরামে প্রায়শই যোগদান করতেন।
এই ফরাসি ম্যানুফ্যাকচারিং ফার্মটি সেলোটেক্সের সংখ্যাগরিষ্ঠ মালিক ছিল, যে কোম্পানিটি আবার গ্রেনফেল টাওয়ারের প্যানেলের পিছনে ব্যবহৃত দাহ্য নিরোধকগুলির বেশিরভাগই তৈরি করত।
গ্রেনফেল তদন্ত অনুসারে সেলোটেক্স ইচ্ছাকৃতভাবে এবং অসাধুভাবে যে, ‘অগ্নি নির্বাপক’ সামগ্রী ব্যবহার করেছিল তা নিম্নমানের।
পশ্চিম লন্ডনের কেনসিংটনের ২৪ তলা গ্রেনফেল টাওয়ার ব্লকে ২০১৭ সালের ১৪ জুন আগুন লেগে ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
রুশনারা আলী একটি বিবৃতিতে বলেছেন, “মন্ত্রী এবং গ্রেনফেল সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশ্বস্ত সম্পর্ক থাকা অপরিহার্য।
বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে বিল্ডিং সেফটির পদটি অন্য মন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হোক।
ভবনগুলিকে নিরাপদ করা এবং আরেকটি ট্র্যাজেডি প্রতিরোধ করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এই কাজটি সম্পাদনে উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বাকি মন্ত্রী দলের আমার প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’ তবে আবাসন বিভাগের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন রুশনারা।
উল্লেখ্য, বেথনাল গ্রিন ও বো আসনে ২০১০ সাল থেকে টানা লেবার পার্টির মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হয়ে আসছেন রুশনারা আলী। তার জন্ম জন্ম সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ভুরকি গ্রামে।
ছেলেবেলায় তিনি মা বাবার সঙ্গে লন্ডনে আসেন। তিনি ব্রিটিশ সংসদের প্রথম কোনও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি। এবারই তিনি প্রথমবারের মতো ব্রিটেনের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পান।
Leave a Reply