সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৭

জিলহজ্জ মাসের গুরুত্বপূর্ণ করনীয় আমল

জিলহজ্জ মাসের গুরুত্বপূর্ণ করনীয় আমল

আজ শুক্রবার। পবিত্র জুমাবার। আজকের বিষয় ‘জিলহজ্জ মাসের গুরুত্বপূর্ণ করনীয় আমল’। শীর্ষবিন্দু পাঠকদের জন্য এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ‘ইসলাম বিভাগ প্রধান’ ইমাম মাওলানা নুরুর রহমান।

শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ—মূলত এই তিন মাসই হজের মাস। এর মধ্যে প্রধান হলো জিলহজ মাস। এই মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখ—এই ছয় দিনেই হজের মূল কার্যক্রম সম্পাদিত হয়। আল্লাহ তাআলা কোরআন কারিমে বলেন, ‘হজ হয় সুবিদিত মাসগুলোয় (শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ)।

এরপর যে কেউ এ মাসগুলোয় হজ করা স্থির করে সে হজের সময় স্ত্রী সম্ভোগ, অন্যায় আচরণ ও কলহবিবাদ করবে না। আর তোমরা উত্তম কাজ থেকে যা-ই করো, আল্লাহ তা জানেন। আর তোমরা পাথেয় সংগ্রহ করো। নিশ্চয়ই, সবচেয়ে উত্তম পাথেয় হচ্ছে তাকওয়া। হে বোধসম্পন্ন ব্যক্তিগণ! তোমরা আমারই তাকওয়া অবলম্বন করো।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৯৭)

আরবি বারো মাসের সর্বশেষ মাস জিলহজ। এ মাসটি বছরের চারটি সম্মানিত মাসের একটি। অনেক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী এ মাস। এ পবিত্র মাসের ১০ তারিখে কুরবানির ঈদ পালনের মাধ্যমে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর প্রিয় বান্দা হজরত ইবরাহিম (আ.) ও হযরত ইসমাইল (আ.)-এর অতুলনীয় আনুগত্য এবং মহান ত্যাগের পুণ্যময় স্মৃতি বহন করে। আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য মুসলিম উম্মাহ প্রতি বছর হজব্রত পালন ও পশু কুরবানি করে থাকে।

হযরত ইবরাহিম (আ.) ও তার পুরো পরিবারের নজিরবিহীন কুরবানির ইতিহাস মানুষকে যে ত্যাগের শিক্ষা দেয়, তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে একজন মুমিন তার সবকিছুই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করতে সদা প্রস্তুত থাকে। হযরত ইবরাহিম (আ.) এবং তার প্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.) এবং মা হাজেরার আল্লাহর প্রতি গভীর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশগুলো আল্লাহতায়ালা হজের অংশ হিসাবে গণ্য করেছেন। আর এ হজ ও কুরবানি সম্পন্ন করে থাকি পবিত্র জিলহজ মাসে। যার ফলে ইসলামে জিলহজ মাসের গুরুত্ব অতি ব্যাপক।

জিলহজ মাসের আমল সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিস থেকে যা পাওয়া যায় তাহলো-মহানবি (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কুরবানি করতে চায়, সে যেন জিলহজের চাঁদ দেখার পর চুল ও নখ না কাটে’ (ইবনে মাজাহ)। তাই জিলহজ মাসে প্রবেশ করার আগেই আমাদের চুল ও নখ কেটে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হতে হবে।

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘এক ওমরাহ থেকে আরেক ওমরাহর মধ্যবর্তী সময়ের (সগিরা) পাপগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর জান্নাতই হচ্ছে মকবুল হজের একমাত্র প্রতিদান’ (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)। এ দিনগুলোতে অধিকহারে তাকবির ইত্যাদি পাঠ করা উচিত।

এ বিষয়ক হাদিসে হযরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, মহানবি (সা.) বলেন, ‘অতএব, তোমরা এই দিনগুলোতে বেশি বেশি করে তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ), তাকবির (আল্লাহু আকবার) এবং তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ) পড়বে’ (মুসনাদে আহমাদ)।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024