বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৪

টিউলিপের দাবি: দুদকের অভিযোগ মিথ্যা ও হয়রানিমূলক

টিউলিপের দাবি: দুদকের অভিযোগ মিথ্যা ও হয়রানিমূলক

দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের অভিযোগকে ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ বলে দাবি করেছেন ব্রিটেনের সাবেক মন্ত্রী ও শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তার আইনজীবীদের পাঠানো একটি চিঠিতে এ কথা বলা হয়। পরে দুদকের পক্ষ থেকেও এ চিঠির একটি জবাব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

এতে বলা হয়, গত জানুয়ারিতে লেবার মন্ত্রিসভার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে সরে দাঁড়ান টিউলিপ। ওই পদে তার কাজ ছিল ব্রিটেনের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেয়া। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতের ব্যয় থেকে প্রায় ৩৯০ কোটি পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক।

সংস্থাটির কাছে লেখা চিঠিতে টিউলিপের আইনজীবী স্টিফেনসন হারউডের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, দুদক বা বাংলাদেশ সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কেউ তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ কোনো ক্ষেত্রেই সুষ্ঠভাবে, সঠিক ও স্বচ্ছতার সঙ্গে আনেননি। অবিলম্বে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ অভিযোগ তৈরি বন্ধ এবং তার ‘ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের লক্ষ্যে’ আর কোনো মিডিয়া ব্রিফিং ও প্রকাশ্য মন্তব্য না করতে বলা হয়েছে চিঠিতে।

হারউড তার দাবির পুনরাবৃত্তি করে বলেন, টিউলিপ কোনোভাবেই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তিতে জড়িত ছিলেন না। যদিও ২০১৩ সালে ক্রেমলিনে একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাকে একই ছবিতে দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে দুদকের পাল্টা চিঠিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তার মতো একজন রাজনীতিবিদ কীভাবে সরলতার কারণে নির্দোষ থাকার দাবি করেন।

টিউলিপের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ২০০৪ সালে লন্ডন কিংস ক্রস এলাকায় উপহার হিসেবে পাওয়া সাত লাখ পাউন্ডের ফ্ল্যাটটি কোনো না কোনোভাবে আত্মসাতের ফল বলে যে দাবি করা হয়েছে, তা সত্য নয়। কারণ, এটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুক্তির ১০ বছর আগেকার ঘটনা।

কিংস ক্রসের ফ্ল্যাটটি তাকে দিয়েছিলেন আব্দুল মোতালিফ নামে এক ব্যক্তি, যাকে খুব ঘনিষ্ঠ পারিবারিক বন্ধু এবং টিউলিপের গডফাদারের মতো বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গণমাধ্যমে দুদকের ব্রিফিংকে ব্রিটেনের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অগ্রহণযোগ্য চেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

দুদকের চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, বড় হওয়ার পর তিনি জীবনের বেশির ভাগ সময় দুর্বৃত্তায়িত আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠদের মালিকানাধীন বাড়িতে কাটিয়েছেন এবং এটিই প্রমাণ করে যে তিনি এই দলের দুর্নীতি থেকে লাভবান হয়েছেন।

দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব অভিযোগ যুক্তরাজ্যের আদালতসহ যে কোনো আদালতে প্রমাণিত হবে।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025