শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৩:১১

পূর্ব লন্ডনে সাঈদীর রায়ের প্রভাব নিয়ে ইকোনমিস্ট প্রতিবেদন

পূর্ব লন্ডনে সাঈদীর রায়ের প্রভাব নিয়ে ইকোনমিস্ট প্রতিবেদন

 

লন্ডনের প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ইকোনমিস্ট-এর অনলাইন সংস্করণে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সাবেক আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে যে রায় দেয়া হয়েছে তাতে বাংলাদেশে সহিংসতা দেখা দিয়েছে। এর উত্তাপ পূর্ব লন্ডনেও পাওয়া যাবে। ওই অঞ্চলটি বাংলাদেশী অধ্যুষিত। বাংলাদেশের চেয়ে এখানে জামায়াতের প্রভাব তুলনামূলক বেশি।

ইসলামাইজেশন ইন বৃটেন অ্যান্ড বাংলাদেশ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই পূর্ব লন্ডনের স্থানীয় রাজনীতিতে বাংলাদেশী ইসলামিজম একটি বড় ফ্যাক্টর। অতীতে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ইস্ট লন্ডন মসজিদ সম্মানিত অতিথি হিসেবে সম্মানিত করেছিল। এই ইস্ট লন্ডন মসজিদকে ওই শহরে মুসলমানদের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখা হয়।

পলিসি এক্সচেঞ্জের এক গবেষণায় সাংবাদিক মার্টিন ব্রাইট ফাঁস করেন যে, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ভিসা দেয়া নিয়ে বৃটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কঠোর সমালোচনা হয়েছিল। তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুসলিম বিষয়ক উপদেষ্টা মকবুল আলী বলেছিলেন, সাঈদীকে যদি বহিষ্কার করা হয় তাহলে বৃটিশ মুসলমানদের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক নষ্ট হবে। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে একজন ক্যারিশমাটিক ধর্মীয় নেতা হিসেবে উল্লেখ করেন ইস্ট লন্ডন মসজিদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুল বারি। তার ধর্মীয় বাণী লন্ডনের মুসলমান, বাঙালি ও অন্যদের মধ্যে বিরাট প্রভাব ফেলেছে।

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় সম্পর্কে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থাগুলো ওই বিচারকে সুষ্ঠু বিচার হয়নি বলে নিন্দা জানিয়েছে। তিনি ১৯৭১ সালের ঘটনা তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃত তদন্ত দাবি করেন এবং সুষ্ঠু বিচার সমর্থন করেন। তার মতে, তিনি বর্তমানের বিচার প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় তা সমর্থন করেন না।

ইকোনমিস্ট আরও লিখেছে, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের পর কমিউনিটির মধ্যে যে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে তা মোকাবিলা কিভাবে করা যায় তা বিবেচনা করছে বৃটিশ কর্তৃপক্ষ। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, বৃটেনে ক্রমবর্ধমান মুসলিম কমিউনিটিতে এই বছর ভয়ংকর ঘটনা ঘটতে পারে, তা ঘটতে পারে অন্তত দুটি কারণে।

প্রথমত, পার্লামেন্টে সমকামী বিয়ে নিয়ে ভোট নিয়ে। পার্লামেন্টে আট মুসলিম এমপির মধ্যে ৫ জনই সমকামী বিয়ের বিলে সমর্থন দিয়েছেন। তা নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে। তবে এ বিলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন একজন মাত্র মুসলিম, তিনি হলেন রেহমান চিশতি। তিনি রক্ষণশীল দলের। তবে এ বিলের পক্ষে ভোট দেয়া সবচেয়ে সিনিয়র মুসলিম এমপি হলেন লেবার দলের সাদিক খান। তিনি ছায়া মন্ত্রিসভার একজন সদস্য। তিনি তার দক্ষিণ লন্ডনের ভোটারদের বলেছেন, সমতার জন্য এই বিলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য তিনি শুধু হত্যার হুমকিই পান নি।

ব্রাডফোর্ডের ইমাম মুহাম্মদ আসলাম নকশবন্দি বলেছেন, সাদিক খান ও অন্য চার মুসলিম তাদের বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন। তাদেরকে নতুন করে ইসলামের প্রতি আনুগত্য আনতে হবে। ওই রিপোর্টে দ্বিতীয় কারণ হিসেবে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024