শীর্ষবিন্দু নিউজ: আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা জোর করে যুক্তরাজ্য পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বিশেষ উপদেষ্টা ববি হাজ্জাজ। গতকাল তিনি জানিয়েছেন, চাপের মুখে তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। আগে দেয়া সব বিবৃতি প্রত্যাহার করে আড়ালে যাওয়ার জন্য তাকে চাপ দেয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে ববি বলেন, কথামতো কাজ না করলে রোষানলে পড়ারও হুমকি দেয়া হয়েছে।
এরশাদ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেও দৃশ্যমান কোন কারণ ছাড়াই তা প্রত্যাহার করা হয়নি দাবি করে ববি হাজ্জাজ বলেন, এ নির্বাচন প্রহসনের, এটা জনগণের মুখে চপেটাঘাত। এদিকে, অনিবার্য কারণে জাতীয় পার্টির রিসার্চ অ্যান্ড স্ট্রাটেজি উইংয়ের কার্যক্রম স্থগিত করেছে সংস্থাটি। যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত উইংয়ের প্রধান ববি হাজ্জাজ তার ব্যক্তিগত সহকারী তারেক মোর্তাজার মাধ্যমে গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এতে তিনি বলেন, রিসার্চ অ্যান্ড স্ট্রাটেজি উইং সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এবং পেশাদার গবেষণা ও কৌশলী নির্ধারণী সংস্থা হিসেবে এক বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করে আসছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাপার চেয়ারম্যানের সামনে সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্মোহভাবে পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং তুলে ধরাই ছিল এর প্রধান কাজ। ববি হাজ্জাজ বলেন, এখানে যারা কাজ করতেন তারা সবাই পেশাদার ও অরাজনৈতিক। আমি তাদের প্রত্যেককে আমার সঙ্গে কাজ করার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
ববি হাজ্জাজ জাতীয় পার্টির রিসার্চ অ্যান্ড স্ট্রাটেজি উইংয়ের প্রধান। কয়েক মাস আগে একটি জরিপ করে আলোচনায় আসেন। এরপর জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত তারানকোর মাধ্যমে বান কি-মুনকে এরশাদের একটি বার্তা পাঠান। ওই বার্তায় শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি ছিল।
সর্বশেষ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে আটকের পর তার পক্ষে গণমাধ্যমে বার্তা পাঠিয়ে বলেন, পার্টি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। তাকে আটকের জন্য সিএমএইচে রাখা হয়েছে। এরপর শনিবার বিকাল ৫টায় এক সংবাদ সম্মেলন করে নিজেকে এরশাদের মুখপাত্র দাবি করে বলেন, চেয়ারম্যান নির্বাচন না করার পক্ষে অনড় রয়েছেন। এ অবস্থায় র্যাব ১-এর কার্যালয় তাকে দেখা করতে বলা হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি র্যাব কার্যালয়ে যান। যদিও র্যাব প্রথমে তা অস্বীকার করেছিল। তাকে সেখানে ২০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়েছে বলে ববি নিজেই বলেছেন।