সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৭:১০

ক্ষমতায় গেলে খালেদা বাংলাদেশের নামও বদলাবেন

ক্ষমতায় গেলে খালেদা বাংলাদেশের নামও বদলাবেন

শীর্ষবিন্দু নিউজ: আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, আবার ক্ষমতায় গেলে কেবল গোপালগঞ্জ নয়, পুরো বাংলাদেশের নামই বদলে দেবেন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া। সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিরোধী দলীয় নেতা গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে দিতে চান। গোপালগঞ্জ নয়; সুযোগ পেলে (ক্ষমতায় গেলে) বাংলাদেশের নামই তিনি বদলে দেবেন। রোববার পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিতে যোগ দিতে নয়াপল্টন কার্যালয়ে যাওয়া চেষ্টা করে পুলিশের বাধায় ব্যর্থ হওয়ার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া। এ সময় তার সামনে থাকা এক মহিলা পুলিশ সদস্যকে তীব্র ভাষায় ধমকাতেও দেখা যায় তাকে।

তিনি বলেন, এই যে মহিলা আপনি এখন কথা বলছেন না কেন। এতক্ষণ তো অনেক কথা বললেন। দেশ কোথায়? গোপালি? গোপালগঞ্জ জেলার নামই বদলিয়ে দেব। গোপালগঞ্জ আর থাকবে না। ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় গোপালগঞ্জসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়ার সমালোচনা করা হয়। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কুশপত্তলিকায় আগুন দেয়ারও খবর পাওয়া গেছে।

বিরোধী দলের ঢাকামুখী অভিযাত্রা অব্যাহত রাখার ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবারও রাজপথে সরব থাকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা সকাল থেকেই রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম চত্বর, আদাবর, শ্যামলীসহ বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ঠেকানোর ঘোষণা দিয়ে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। এসব অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রীর নিজ জেলা গোপালগঞ্জ নিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সনের মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করা হয়।

সকাল পৌনে ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে মহানগর আওয়ামী লীগ। সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোটের ব্যানারে আরো অন্তত ২২টি সংগঠন এতে অংশ নেয়। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক সবুজের সভাপতিত্বে এ মানববন্ধনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আইনপ্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক প্রতিমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধনে মায়া বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ‘জ্বালাও-পোড়াও, নৈরাজ্য হত্যা ও মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচি’ বন্ধের দাবিতে তাদের এই কর্মসূচি। খালেদা জিয়ার সমালোচনায় তিনি বলেন, “বিরোধী দলীয় নেত্রী তার বাড়িতে সাংবাদিকদের সমানে টিস্যু পেপার মুড়িয়ে বাম হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে এসেছেন। তার হাতে জাতীয় পতাকা নিরাপদ নয়। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন। সাধারণ রোগীদের ক্ষেত্রে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট চিকিৎসাবোর্ড গঠন করা হলেও তার চিকিৎসার জন্য ১১ সদস্য বিশিষ্ট বোর্ড গঠন করা উচিত। তা না হলে তার উল্টোপাল্ট কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।

আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে গতকাল বিরোধীদলীয় নেত্রী কর্মসূচি দিয়েছিলেন সে স্বপ্ন ভেঙে গেছে। আর কর্মসূচি দিয়ে লাভ নেই। মানববন্ধন শেষে নেতাকর্মীরা মিছিল করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলিত হন। বাংলাদেশ কৃষক লীগ, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা বিভাগ শ্রমিকলীগ, আওয়ামী মুক্তযোদ্ধা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি মানববন্ধনে অংশ নেয়।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025