শীর্ষবিন্দু নিউজ: পর্যাপ্ত মনুষ্য পয়ঃব্যবস্থাপনার অভাবে পয়ঃনিষ্কাশন ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত সাফল্য অর্জিত হচ্ছে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে গত দুই দশকে পয়:নিষ্কাশন খাতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের ফলে উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগের হার ২০১০ সালে ৪ দশমিক ৪ ভাগে নেমে এসেছে, যা ২০০৩ সালে ছিলো ৪৩ শতাংশ। শনিবার আইটিএন-বুয়েট সেমিনার কক্ষে মনুষ্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শীর্ষক এক কর্মশালা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব তথ্য তুলে ধরেন।
ওয়াটার এইড বাংলাদেশ, প্র্যাকটিকেল এ্যাকশন বাংলাদেশ ও আইটিএন-বুয়েটের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মশালা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. এম খায়রুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালের মধ্যে দেশের সব মানুষের জন্য পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা বাংলাদেশের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অন্যতম একটি দিক। সঠিকভাবে মনুষ্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে না পারলে এ লক্ষ্য অর্জিত হবে না।
তিনি বলেন, পয়ঃনিষ্কাশনে তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি হলেও মনুষ্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা ছাড়া সেই লক্ষ্য অর্জন সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
বিভিন্ন গবেষণার কথা তুলে ধরে ড. এম খায়রুল হক বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রে পয়ঃনিষ্কাশনের ক্ষেত্রে একটি উদ্ভাবনী জ্ঞান হিসাবে ভূমিকা রাখবে। যা নগর ও শহরতলীর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে কার্যকর হয়ে কাজ করবে।
এ ছাড়া উন্নয়ন গবেষক, অধ্যাপক, উন্নয়নকর্মীসহ সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা ও পৌরসভার কর্মকর্তারাও আলোচনায় অংশ নেন। দেশের বিভিন্ন গ্রাম ও ছোট শহরগুলোয় মনুষ্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপায় বের করতে ফরিদপুরে যৌথভাবে ওয়াটার এইড বাংলাদেশ, প্র্যাকটিক্যাল এ্যাকশন বাংলাদেশ ও ফরিদপুর পৌরসভা একটি প্রকল্প পরিচালনা করে। প্রকল্পে বর্তমান পয়ঃনিষ্কাশনে প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
কর্মশালায় স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম ফিরোজ আহমেদ, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মুজিবুর রহমান, সংগঠনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার সারা আহরারি, এসএনভির রাজীব মুনানকামি ও যুক্তরাজ্যের বুরোহ্যাপোল্ড লিমিটেডের সিনিয়র কনসালটেন্ট ড. সিলিয়া ওয়ে প্রমুখ বক্তব্য দেন।