শীর্ষবিন্দু নিউজ: বিডিআর বিদ্রোহ বা পিলখানা ট্র্যাজেডির পঞ্চম বার্ষিকী মঙ্গলবার। বর্তমান মহাজোট সরকার প্রথমবার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) কিছু বিপথগামী জওয়ানের বিদ্রোহে ৭৪ জন নিহত হন, এদের মধ্যে ৫৭ জনই ছিলেন সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এর আগে, দেশের ইতিহাসে একসঙ্গে এত বেশিসংখ্যক সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা নিহত হননি। এই ঘটনায় দেশে-বিদেশে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় যারা প্রাণ হারান, তারা হলেন- বিডিআরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ উপ-মহাপরিচালক (ডিডিজি) ব্রিগেডিয়ার জে. মো. জাকির হোসেন, ব্রি. জেনারেল মো. আবদুল বারী, কর্নেল মুজিবুল হক ইমরান, কর্নেল মো. আনিসুজ্জামান, কর্নেল মোহাম্মদ মসীউর রহমান, কর্নেল কুদরত ইলাহী রহমান শফিক, কর্নেল মোহাম্মদ আখতার হোসেন, কর্নেল মো. রেজাউল কবীর, কর্নেল নাফিজ উদ্দীন আহমেদ, কর্নেল কাজী এমদাদুল হক, কর্নেল সামছুল আরেফিন আহাম্মেদ, কর্নেল মোহাম্মদ নকিবুর রহমান, কর্নেল কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, কর্নেল মো. শওকত ইমাম, কর্নেল মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম, কর্নেল মো. আফতাবুল ইসলাম, কর্নেল গুলজার উদ্দীন আহমেদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল এনশাদ ইব্ন আমিন, লে. কর্নেল এনায়েতুল হক, লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া এম নিয়ামতউল্লাহ, লে. কর্নেল শামসুল আজম, লে. কর্নেল মো. বদরুল হুদা, লে. কর্নেল মো. সাইফুল ইসলাম, লে. কর্নেল মো. লুৎফর রহমান, লে. কর্নেল মোহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমান, লে কর্নেল কাজী রবি রহমান, লে. কর্নেল লুৎফর রহমান খান, লে. কর্নেল আবু মূসা আইয়ুব কায়সার আহমেদ, লে. কর্নেল মঞ্জুর এলাহী, মেজর মিজানুর রহমান, মেজর মাহবুবুর রহমান, মেজর মো. মকবুল হোসেন, মেজর মো. আব্দুস সালাম খান, মেজর হোসেন সোহেল শাহনেওয়াজ, মেজর কাজী মোসাদ্দেক হোসেন, মেজর মোহাম্মদ সালেহ, মেজর মাহমুদ হাসান অপু, মেজর মুস্তাক মাহমুদ, মেজর মাহমুদুল হাসান, মেজর হুমায়ুন হায়দার, মেজর মো. আজহারুল ইসলাম, মেজর মো. হুমায়ুন কবীর সরকার, মেজর মো. খালিদ হোসেন, মেজর মোহাম্মদ মাকসুম-উল-হাকিম, মেজর সৈয়দ মো. ইদ্রিস ইকবাল, মেজর মো. রফিকুল ইসলাম, মেজর মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন, মেজর মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম সরকার, মেজর মোস্তা আসাদুজ্জামান, মেজর এস এম মামুনুর রহমান, মেজর কাজী আশরাফ হোসেন, মেজর আজিজ, মেজর মাহবুব, মেজর মোবাশ্বের, মেজর আহমেদ আজিজুল হাকিম পলাশ, ক্যাপ্টেন মাজহারুল হায়দার ও সৈনিক মো. জহুরুল ইসলাম।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের শিকার হন অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল দেলোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী লাভলী বেগমও। তারা দু’জনেই চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসে বিডিআরের ডিজি শাকিল আহমেদের বাসায় উঠেছিলেন।
বিডিআর এর নন-কমিশন অফিসার ও সৈনিক
বিডিআরের বিপথগামী জওয়ানদের বিদ্রোহের বলি হন বিডিআরেরই কয়েকজন সদস্য। এরা হলেন, সুবেদার আবুল কাশেম, নায়েক সুবেদার বছির উদ্দিন, ল্যান্স নায়েক মানিক, সহকারী পরিচালক (এডি) খন্দকার আব্দুল আওয়াল, সুবেদার মেজর নুরুল ইসলাম।
সাধারণ নাগরিক
সেনা ও বিডিআর কর্মকর্তাদের পাশাপাশি জওয়ানদের বিদ্রোহীদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন অনেক বেসামরিক লোকজনও। এরা হলেন, বিডিআর ডিজি শাকিল আহমেদের স্ত্রী বেগম নাজনীন শাকিল, মোহাম্মদপুরের পিপপলস ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তারেক আজিজ, জনৈক আমজাদ আলী, সবজি বিক্রেতা ১৩ বছর বয়সী হৃদয় হোসেন। কর্নেল মুজিবুল হকের বাসার কাজের মেয়ে কল্পনা (১২) ও জনৈক ফিরোজ।
নিখোঁজ
পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ হন সেনা কর্মকর্তা মেজর আবু সৈয়দ গাজ্জালী দস্তগীর ও ক্যাপ্টেন তানভির হায়দার নূর।