শীর্ষবিন্দু নিউজ: মাধ্যমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে বাস্তবায়নাধীন একটি প্রকল্পে সরকারকে সহজ শর্তে অতিরিক্ত ২ হাজার কোটি টাকার বেশি (২৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঋণ দিচ্ছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ)। ২০০৮ সালে বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সহজ শর্তে একশ ত্রিশ দশমিক ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রদান করে। প্রকল্পের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য আরও ২৬৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে আইডিএ।
সরকারের বাস্তবায়নাধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (এসইকিউএইপি) শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতার জন্য এ ঋণ দেওয়া হচ্ছে। বুধবার বিকেলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) এনইসি-২ কনফারেন্স রুমে এ বিষয়ক একটি চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তিপত্রে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি’র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন এবং আইডিএ’র পক্ষে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর জোহানেস জাট সই করেন। এ সময় বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তির ফলপ্রসূ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা, মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের জন্য মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষকদের নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং মেধাবী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও নির্দিষ্ট মানদণ্ডে ভালো স্কুলগুলোকে উৎসাহব্যাঞ্জক আর্থিক সুবিধা প্রদান করাই ঋণের উদ্দেশ্য। এছাড়া দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের স্টাইপেন্ড প্রদানের মাধ্যমে সমতা এবং সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার মান উন্নয়ন, অতি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষায় অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, মনিটরিং সিস্টেম জোরদার, পাঠ্যসূচির বাইরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপযোগী বিষয়ের ওপর পাঠ্যাভাস গড়ে তোলাও এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।
প্রকল্পটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ২০০৮ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত থাকলেও অতিরিক্ত অর্থায়নের কারণে তা বৃদ্ধি করে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য আইডিএ সহজ শর্তে অতিরিক্ত অর্থায়ন করেছে। যা দশ বছরের গ্রেস প্রিয়ডসহ ৪০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে উত্তোলিত অর্থের উপর বার্ষিক ০.৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হবে।