শীর্ষবিন্দু নিউজ: আজ বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস-২০১৪। ‘ফোন সেবার অধিকার সংরক্ষণ’ (Fix Our Phones Rights) এ স্লোগানকে মূল প্রতিপাদ্য করে অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও মার্চ মাসের ১৫ তারিখে দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ক্যাব) যৌথভাবে নানা কর্মসূচি পালন করবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আবুল হোসেন মিঞা বাংলানিউজকে জানান, দিবসটি উপলক্ষে দেশের সব জেলা ও উপজেলায় সেমিনার, মানববন্ধন, ও সচেতনতামূলক বুকলেট বিতরণ ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও টেলিকম সেবা নিশ্চিত করতে এদিন বিটিআরসি থেকে ভোক্তাদের মোবাইলে একটি বিশেষ এসএমএস দেওয়া হবে। বাংলাদেশের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ পড়তে ক্লিক করুন। (আইন আমার ইমেইলে)
কনজুমার ইন্টারন্যাশনাল সূত্র জানায়, টেলিকম গ্রাহককে কম খরচে সেবা, সেবার মান উন্নয়ন, স্বচ্ছ ও সাশ্রয়ী বিলিং ব্যবস্থা, তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখা এবং গ্রাহকের অভিযোগ শুনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণকে নিশ্চিত করতেই দিবসটির এই প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ থাকলেও এর প্রয়োগ নেই। বর্তমান আইনে ৪০টি বিধি রয়েছে তবে এর একটিও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তাই ভোক্তাকে তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে দিবসটিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান মো. আবুল হোসেন মিঞা।
কনজুমার ইন্টারন্যাশনাল সূত্রে জানা যায়, ১৯৬২ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ভোক্তার অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে এবং জাতিসংঘে বর্ণিত চারটি মৌলিক অধিকার সম্পর্কে আলোকপাত করেন। কেনেডি’র ভাষণের দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৯৮৩ সালের ১৫ই মার্চ মালয়েশিয়ার পরিবেশবিদ ও ভোক্তা অধিকার বিষয়ে আন্দোলন কর্মী আনোয়ার ফজলের আহ্বানে ভোক্তাদের মৌলিক অধিকার সম্বন্ধে সচেতনতার উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
পরে ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘ ভোক্তা অধিকার রক্ষার নীতিমালায় কেনেডি বর্ণিত চারটি মৌলিক অধিকারকে আরো বিস্তৃত করে অতিরিক্ত আরো আটটি মৌলিক অধিকার সংযুক্ত করা হয়। এরপর থেকেই কনজুমার্স ইন্টারন্যাশনাল এ সব অধিকারকে সনদে অন্তর্ভূক্ত করে। কনজুমার ইন্টারন্যাশনাল ভোক্তাদের ৮টি মৌলিক অধিকার গুলো হচ্ছে- মৌলিক চাহিদা পুরনের অধিকার, নিরাপদে পণ্যভোগের অধিকার, পণ্যভোগের সময় মৌলিক বাস্তবতা জানার অধিকার, বাছাইয়ের অধিকার, আহ্বান জানানোর অধিকার, ন্যায্য বিরোধ সমাধানের অধিকার, পণ্যভোগের মৌলিক জ্ঞান জানার অধিকার এবং সুষ্ঠু পরিবেশে জীবন-যাপন ও কাজ করার অধিকার।