রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১১

দেশজুড়ে চারটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের ব্যয় প্রায় ৮২ কোটি টাকা

দেশজুড়ে চারটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের ব্যয় প্রায় ৮২ কোটি টাকা

শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: সর্বস্তরের মানুষের জন্য ব্যবসা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইকোনোমিক জোনস ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট (ফেইজ-১) গ্রহণ করতে যাচ্ছে সরকার। বিভিন্ন খাতের অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং সেগুলির উন্নয়নের মাধ্যমে শিল্পায়নের দ্রুত প্রসার ঘটিয়ে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন দ্রুততর করাই প্রস্তাবিত প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য।

প্রস্তাবিত প্রকল্পের মাধ্যমে চারটি অঞ্চল- বাগেরহাটের মংলা, মৌলভীবাজারের সদর উপজেলা, চট্টগ্রামের মিরেরশরাই এবং আনোয়ারা উপজেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হবে। প্রকল্পটির মেয়াদ জানুয়ারি ২০১৪ সাল থেকে জুন ২০১৬ সাল পর্যন্ত। প্রকল্পটির উদ্যোক্তা মন্ত্রণালয়- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি টাকা মাত্র ২ কোটি ২৫ লাখ। বাকি ৭৯ কোটি ৭ লাখ টাকা বিশ্বব্যাংক ও ব্রিটিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ডিএফআইডি) একসঙ্গে প্রকল্প সহায়তা আকারে দেবে।

পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানা গেছে, প্রকল্পটি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের এডিপি বহির্ভূত একটি নতুন প্রকল্প। প্রকল্পটিকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে অন্তর্ভ‍ুক্তির জন্য ইতোমধ্যে সুপারিশ করা হয়েছে। প্রকল্পটির সুদূর-প্রসারী উদ্দেশ্য হলো শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানে পিছিয়ে পড়া অনুন্নত অঞ্চলসহ সম্ভাবনাময় বিভিন্ন অঞ্চলের দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা। এ লক্ষ্যে এসব অঞ্চলসমূহে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা।

পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, দেশের সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন অঞ্চলে মাল্টি-প্রডাক্ট শিল্প কারখানার প্রসার ঘটানো হবে। অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক ভৌত অবকাঠামো তৈরি করা হবে। এছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত জমিতে এবং ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি হয়েছে এমন অঞ্চলে প্রয়োজনীয় মৌলিক ভৌত অবকাঠামো তৈরি ও ইউটিলিটি সরবরাহ করা হবে।

এর পাশাপাশি প্রকল্পের আওতায় বিদেশি উদ্যোক্তাদের এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প কারখানা স্থাপন ও পরিচালনায় আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে উপযুক্ত ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা হবে। এ প্রকল্প দেশের মানুষের ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরি করবে। এছাড়া ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিল্পায়নের প্রসার ঘটানোই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য। পরিসংখ্যান বিভাগের ইন্ডাস্ট্রি ও লেবার উইং থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রায় ২ মিলিয়ন লোকের বিশাল জনশক্তি রয়েছে এবং এখানে শ্রমের মূল্য এশিয়ার অন্যান্য দেশের শ্রম মূল্যের তুলনায় কম।

পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগের (জিইডি) মতে, এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জিডিপি’র প্রভৃতি বছরে ৮ শতাংশ উন্নীত করা যায় এবং ২০২১ সাল নাগাদ দারিদ্র্যের হার ৪০ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা যাবে। এ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকার অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি ও উন্নয়নের ওপর যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেছে। প্রকল্পে অর্থায়নের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে দাতা সংস্থা। ২০১০ সালে বেজা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বিভিন্ন স্থানে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠ‍া এবং বেজা’র সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশন জানায় প্রস্তাবিত প্রকল্পে মূলত; মংলা, মৌলভীবাজার সদর, মিরেরশরাই এবং আনোয়ারা উপজেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি এবং উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজ করা হবে। এছাড়া ভূমি উন্নয়ন, অফিস ভবন নির্মাণ, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, সংযোগ সড়ক তৈরি, সেতু-কালভার্ট নির্মাণ, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং গ্যাস সংযোগ প্রদান করা হবে।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025