শীর্ষবিন্দু নিউজ: পদত্যাগ নিয়ে নতুন নাটক শুরু করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেভিন স্টিল। সদ্য পদত্যাগী বিমানের প্রথম বিদেশি প্রধান নির্বাহী কেভিন স্টিল বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন তার যক্ষ্মা রোগ ছিল। তবে বিমানের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কেভিন স্টিলের তার রোগের বিষয়টি গোপন করেই তিনি বিমানের এমডি পদে আবেদন করেছিলেন। বিষয়টি বিমানের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদসহ কেউ কেউ জানতেনও।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কেভিন বলেন, আমার পদত্যাগ নিয়ে অনেক ভুল তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আমার দায়িত্ব পালনকালে বিমানের চেয়ারম্যান, পরিচালনা পর্ষদ থেকে প্রধানমন্ত্রী সবাই আমাকে অকুন্ঠ সমর্থন দিয়েছেন। আমার পদত্যাগ নিয়ে যেসব গুজব ছড়িয়েছে তা ঠিক নয়। সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যগত কারণেই আমি পদত্যাগ করেছি এবং বিমানে যোগদানের পরেই আমার যক্ষ্মারোগ ধরা পড়েছে। আমি স্ট্রোকও করেছি এখানে আসার পর।
অথচ বিমানের শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যায়ের কেউ কেউ রোগটি বাংলাদেশে আসার পর হয়েছে-এমনটি বলার চেষ্টা করছেন। কেভিনের পদত্যাগের সংবাদটি ২৩ মার্চ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর বিমানের পাবলিক রিলেশন বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার খান মোশাররফ হোসেনকে উদ্ধৃত করে কেভিনের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। মোশাররফ হোসেনের এই মিথ্যাচারে বিস্মিত বিমানের কর্মকর্তারা। কারণ তার যক্ষ্মা রোগের বিষয়টি সবার কাছে ওপেন সিক্রেটই ছিল এবং এই রোগ নিয়েই যে তিনি বিমানে যোগদান করেছেন তাও জানা ছিল।
এয়ারলাইন্সের জিএম পিআর এর এই মিথ্যাচারে নতুন করে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ যক্ষ্মা বাংলাদেশে আসার পর হলে কেভিনকে বড় অংকের অর্থ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বিমানের কাছ থেকে কিছু অর্থ পেতে উল্টো তিনিও এখানে আসার পরই তার যক্ষ্মা হয়েছে বলে প্রচার শুরু করেছেন।