শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যের হাউস অফ কমন্সে এক অনুষ্ঠানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরণ করলেন বাংলাদেশ, ভারত ও ব্রিটিশ সরকারের প্রতিনিধিরা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওয়েস্ট মিনস্টার প্যালেসের সভাকক্ষে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি রবীন্দ্রনাথের স্মরণে এই সভা হয়।
গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ব্রিটিশ এমপি বীরেন্দ্র শর্মার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে লন্ডনভিত্তিক সাংস্কৃতিক সংগঠন নৃত্যকলা ড্যান্স হেরিটেজ। সাংস্কৃতিক এ সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লর্ড ঢোলাকিয়া বলেন, আমাদের এ বিষয়ে আনন্দিত হওয়া ইচিত যে, ঠাকুরের মত একজন ব্যক্তিত্বকে ওয়েস্টমিনস্টার প্যালেসে স্বাগত জানানোটা বহু সংস্কৃতির ব্রিটেনকে প্রতিফলিত করে।
জনাকীর্ণ সভায় রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করে ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এবং যুক্তরাজ্যে দেশটির বর্তমান রাষ্ট্রদূত রঞ্জন মাথাই বলেন, ঠাকুর ছিলেন ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষদের একজন। তিনি ছিলেন একজন মহান ব্যক্তি, যিনি আমাদের জাতীয় সংগীত লিখেছিলেন। সাহিত্য, সংগীত, শিল্পে তার অর্জনের ব্যাপ্তি অসামান্য। যুক্তরাজ্যে নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিজারুল কায়েস বলেন, নোবেল পুরস্কার পেয়ে ঠাকুর নোবেলকেই সম্মানিত করেছেন।
সভার অন্যতম আয়োজক ছিলেন পশ্চিম লন্ডনের ইলিং সাউথহল আসন থেকে নির্বাচিত লেবার পার্টির এমপি বীরেন্দ্র শর্মা। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের গভীর সম্পর্ক ছিল। ইউরোপ, আমেরিকা ও শ্বেতাঙ্গদের বাইরে প্রথম কবি হিসেবে রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কার জয়ের ক্ষেত্রে ডব্লিউ বি ইয়েটসের মতো ব্রিটিশ (আইরিশ) কবিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।