সাওরাত হোসেন সোহেল: চিলমারীতে বোরো সেচের শুরুতেই পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। অসহায় হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। একই সঙ্গে লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এখানে ১ মাস ধরে প্রাকৃতিক কোন সমস্যা সৃষ্টি না হলেও কারণে অকারণে বিদ্যুৎ ঘণ্টর পর ঘণ্টা বন্ধ থাকছে। গত কয়েক দিন থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় গ্রাহকদের এবং সন্ধ্যার পর বেশ কয়েকবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করেছে।
এভাবে বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করায় মেশিন-যন্ত্রপাতিতে সুষ্ঠুভাবে কোন কাজ করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে চলতি বোরো সেচে এর প্রভাব পড়েছে। বিদ্যুতের অভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার উপক্রম। দিনে-দুপুরে সেচ পাম্প প্রায় বন্ধ থাকছে। কোন রকমে রাতে সেচ পাম্প চললেও কৃষকদের বোরো ধানের জমি সেচ দিয়ে কভার করতে পারছেন না অপারেটররা। এতে করে প্রায় সময় কৃষক ও অপারেটরদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটছে।
উপজেলার অনেকে জানান, কয়েকদিন থেকে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ চালিত গভীর অগভীর নলকূপ বন্ধও থাকছে। শরীফের হাট পশ্চিম খড়খড়িয়া গ্রামের গভীর নলকূপ অপারেটর বলেন, এখানকার কৃষকের বোরো আবাদ লাগানো শেষ হয়েছে। দুই-তিনদিনের মধ্যে জমির পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে দুই তিন দিনের মধ্যে প্রতিটি জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। দিনের বেলায় কোনভাবেই গভীর নলকূপের পাম্প মেশিন চলছে না। শুধু রাতে দুই তিন ঘণ্টা পাম্প মেশিন চালিয়ে কৃষকদের জমি সেচ দিয়ে শেষ করা যাচ্ছে না।
এ কারণে কৃষকরা তার গভীর নলকূপে গিয়ে তাকে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ধরনের গালমন্দ করছেন। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ এরিয়া অফিসের ইনচার্জ জানান, লাইনে কাজ চলছে এবং দিনের বেলায় বিদ্যুৎ সাপ্লাই কম থাকায় একটু লোডশেডিং হচ্ছে এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। তবে রাতে বিদ্যুতের ২/৩ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকলেও বাকি সময় পুরো সরবরাহ থাকছে।