সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৮:১১

প্রতারিত ১৪১ হজযাত্রীকে নিয়ে এখনও টানাহেঁচড়া

প্রতারিত ১৪১ হজযাত্রীকে নিয়ে এখনও টানাহেঁচড়া

নিউজ ডেস্ক: এজেন্সির কাছে টাকা জমা দিয়েও হজে যেতে পারেননি ১৪১ জন হজযাত্রী। এখন তাদের নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত হজ এয়ার সার্ভিস (লাইসেন্স নং-১১৬৯)-এর মালিক মো. আহসান উল্লাহ’র প্রতারণার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অবশেষে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা প্রতারণাকারী হজ এজেন্সির মালিকদের ধরতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। গত ২৫শে মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠিতে অপরাধী হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে হজ এয়ার সার্ভিস ১৪১ জন হজযাত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে হজে পাঠায়নি। ফলে হজ ব্যবস্থাপনা চরমভাবে বিঘ্নিত হয়। ওই সময় বিষয়টি নিয়ে সাবেক বিমান মন্ত্রী ফারুক খান ও বজলুল হক হারুন সমস্যা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেন। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচরে আনা হয়। হজ এজেন্ট তখন পলাতক থাকায় তাদের হজে পাঠানো যায়নি। গত ৩০শে এপ্রিল সকাল ১১টায় ১৪১ জন প্রতারিত হজযাত্রীকে হজে পাঠানো নিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয়। একই দিনে মুখ্য সচিব আব্দুস সোবাহান সিকদারের সভাপতিত্বে আরও একটি সভা হয়।

ওই দুই সভায়, প্রতারিত ১৪১ জন হজযাত্রীকে হজে পাঠানোর বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ দুই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হজ এয়ার সার্ভিসের মালিক ও তার সহযোগীদের হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) অফিসে ডেকে নিয়ে আসা হয়। তাদের কাছে হজযাত্রীদের টাকা উদ্ধারে চাপ দেয়া হয়। তাদের মধ্যে হাফিজ মোকাররম হোসাইন এক কোটি ৭১ লাখ এবং মাহফুজ বিন সিরাজ এক কোটি দশ লাখ টাকা জমা আছে বলে স্বীকার করেন। হাব তাদের কাছ থেকে টাকার বিপরীতে চেক নেন।

কিন্তু চেকগুলোর বিপরীতে টাকা না থাকায় এগুলো নগদায়ন করা যায়নি। হাব বিষয়টি ধর্ম মন্ত্রণালয়কে জানানোর পর তারা পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। এরই মধ্যে হজ এজেন্সির জামানতসহ লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। জামানতের ২০ লাখ টাকা সরকারি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে কোষাগারে জমা হয়েছে। এরই মধ্যে হজ এজেন্সির মালিক ও গ্রুপ লিডারদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

ওদিকে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতারিত হজযাত্রীদের পক্ষে কয়েকজন হজযাত্রী জানান, সৌদি হজ এয়ার সার্ভিসের (লাইসেন্স নং ১১৬৯)  প্রতারণার শিকার হয়ে আমরা গত বছর হজ পালন করতে পারিনি। তখন গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার পর সাবেক বিমানমন্ত্রী ফারুক খান আশকোনার হজ ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে প্রতারিত হজযাত্রীদের আর্তনাদ শুনে এ বছর আমাদের হজ পালনের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে ওই আশ্বাসের এখনও কোন ব্যবস্থা আমরা দেখছি না।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025