শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: বৃটিশ পার্লামেন্টে ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের বক্তব্য শুনলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর হাউস অব কমন্সে এটাই ছিল টিউলিপের প্রথম বক্তৃতা। লন্ডন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সপরিবারে হাউস অব কমন্সে গ্যালারিতে বসে টিউলিপের বক্তব্য শোনেন।
পরিবারের অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও তার স্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুল। টিউলিপের মা শেখ রেহানা, ভাই রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপের স্বামী ক্রিস পার্সি। শেখ হাসিনা হাউস অব কমন্সে পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানান অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের চেয়ারম্যান কিথ ভাজ। হাউস অব কমন্সে টিউলিপের বক্তৃতা শোনার পর হাউস অব লর্ডসের স্পিকার ব্যারনেস ডি সুজার সঙ্গে শেখ হাসিনা বৈঠক করেন।
টিউলিপ তার বক্তব্যে বলেন, তাকে নির্বাচিত করায় যুক্তরাজ্যে তার নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের ধন্যবাদ জানান। সেই সঙ্গে ওই আসনটির গুরুত্বও পার্লামেন্ট সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন তিনি। প্রায় ১০ মিনিটের বক্তব্যে অভিবাসীদের জন্য যুক্তরাজ্যের দ্বার অবারিত রাখার দাবি জানান লেবার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য টিউলিপ, যা রক্ষণশীল সরকার অনেকটাই সঙ্কুচিত করে রেখেছে বলে অভিবাসীদের অভিযোগ।
টিউলিপ বলেন, ব্রিটেনে আমার মা ছিলেন একজন রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী। আর এক সময়ের অসহায় এই মহিলার মেয়ে আজকে আমি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি হয়েছি। আমি মনে করি ইমিগেন্টের দেশ ব্রিটেন। আর তাই ব্রিটেনে ইমিগ্রেন্টদের যথার্থ মূল্যায়ন করা উচিত।
এদিকে গতকালও পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা। সোমবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী বৃটিশ পার্লামেন্টে এক সভায় যোগ দিতে যান। এ সময় স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পার্লামেন্টের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে আসা ঘটনার একাধিক ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, পার্লামেন্টের সামনের রাস্তায় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিএনপির নেতা-কর্মীরা ধাওয়া দিচ্ছে এবং জুতা ও ডিম নিক্ষেপ করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হয়। মঙ্গলবারও বিএনপির নেতা-কর্মীরা পার্লামেন্টের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন এবং এ সরকারকে অবৈধ উল্লেখ করে নানা স্লোগান দিতে থাকেন।