শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: আর্থিকভাবে অসচ্ছল গ্রিনকার্ডধারী অভিবাসীদের নাগরিকত্বের আবেদন ফি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস-ইউএস সিআইএস’র নিউইয়র্ক ডিস্ট্রিক পরিচালক ফিলিস কোভেন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে নিউইয়র্ক সিটি প্রশাসনের অভিবাসন বিষয়ক কমিশনার নিশা আগরওয়াল জানান, নাগরিকত্ব পেলে সরকারি চাকরিতে প্রবেশসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবে অভিবাসীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ডধারী হলেও নাগরিকত্ব নেননি বা পাননি, এমন অভিবাসীর সংখ্যা ৮৮ লাখ। এর মধ্যে নিউইয়র্কে রয়েছে বাংলাদেশিসহ সাড়ে সাত লাখ অভিবাসী।
মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সেবা কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, নাগরিকত্বের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকা, আর্থিক সচ্ছলতার অভাব ও ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী না হওয়ায় তারা নাগরিকত্ব নিতে আগ্রহী হচ্ছে না।
এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে নাগরিকত্ব গ্রহণে গ্রিনকার্ডধারীদের উৎসাহিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ইউসিস। শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউসিসের পরিচালক জানান, নাগরিকত্ব গ্রহণে অভিবাসীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি আবেদন ফি-প্রদানও সহজ করছেন তারা।
ইউসিসে পরিচালক ফিলিস কোভেন বলেন, অভিবাসীরা যেন আর্থিক সমস্যা থেকে বেরিয়ে এসে নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে পারে আমরা শরৎকাল থেকেই সেই প্রক্রিয়া চালু করবো। যারা নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য তারা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও সহজে আবেদন ফি জমা দিতে পারবেন। আর কম আয়ের অভিবাসীরা এক্ষেত্রে ছাড় পাবেন।
একই সংবাদ সম্মেলনে নিউইয়র্কের অভিবাসন কমিশনার নিশা আগরওয়াল অভিবাসীদের নাগরিকত্ব গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, নাগরিকত্ব পেলে ভালো চাকুরী ও উচ্চ শিক্ষা পাওয়া যায়, পরিবারে সচ্ছলতা আসে পাশাপাশি কমিউনিটিতেও অবস্থান ভালো হয়। এতে করে অভিবাসীরা সমাজের মূলধারার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততাও বাড়াতে পারেন। তাই, নাগরিকত্বের বিষয়ে অধিবাসীদের সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
এসব অভিবাসী নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে ভোটাধিকার প্রদানসহ অন্যান্য নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন, অন্যদিকে মার্কিন প্রশাসনের কর আদায়ের পরিমাণও বাড়বে।