শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: সাইক্লিষ্ট এবং পথচারীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে লন্ডনের রাস্তায় অনিরাপদ লরি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। মঙ্গলবার সেই স্কীমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মেয়র বরিস জনসন।
চলতি বছর লন্ডনে ৮টি সাইকেল আরোহির মৃত্যুর মধ্যে ৭টিতেই মালবাহী বড় লরি জড়িত ছিল। যে গুলোর মধ্যে বিশাল ব্লাইন্ড স্পট ছিল। নতুন স্কীম অনুযায়ী, কিছু কিছু লরিতে বড় আকারের ডোর উইন্ডোজ রাখার পাশাপাশি লেফট টার্ন নেবার সময় গতি কমানোর কথাও বলা হয়েছে। নতুন স্কীমে। প্রায় ১৮ মাস আগে লন্ডনের রাস্তায় যেসব লরিতে সাইড গার্ড এবং সাইক্লিষ্ট ও পথচারীদের দেখতে বিশেষ মিরর লাগানো থাকবে না সে সব লরি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষনা দিয়েছিলেন লন্ডন মেয়র বরিস।
ওদিকে লন্ডনের সাইক্লিং ক্যাম্পেইনাররা এগুলোকেই যথেষ্ট মনে করছেন না। বরং পুরো লরিকে রিডিজাইন করে ড্রাইভারদের সীট স্ট্রীট লেভেলে নিয়ে আসার দাবী করছেন তারা। এর মাধ্যমে লরি ড্রাইভাররা ডান-বামসহ সব কিছু স্বচ্ছভাবে দেখতে পারবেন বলে যুক্তি তাদের।
এদিকে মিনিক্যাব বিশেষ করে উবারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবারই প্রথম যাত্রীদের বিশেষ ছাড় দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ব্ল্যাক ক্যাব ড্রাইভাররা। ব্ল্যাক ক্যাবের মাধ্যমে অন্তত ৬ মাইল বা তার বেশি পথ ভ্রমণ করলে যাত্রীর কাছ থেকে মিটারের চেয়ে ৩০ শতাংশ নীচে নির্ধারিত একটি ভাড়া রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। উইকএন্ডে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা, রাত ৮টা থেকে ১১টা এবং রাত ২টা থেকে পরদিন সকাল ৬টার মধ্যে এ বিশেষ ছাড় দেয়া হবে। তবে এ জন্য অবশ্যই ব্ল্যাক ক্যাব হেইলিং এ্যাপ ‘গ্যাট’ এর মাধ্যমে ক্যাব বুকিং দিতে হবে।
এদিকে প্রথম দিনেই লন্ডনের রাস্তা থেকে সাইডগার্ড এবং বিশেষ মিররবীহিন কয়েকটি লরি আটক করে পুলিশ। নতুন স্কীমের নিয়মভঙ্গকারী লরিগুলোকে ৫০ পাউন্ড থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ হাজার পাউন্ড জরিামান করা হবে। আর একের পর এক বেশি স্কীমের নিয়ম ভাঙলে অপারেশন লাইসেন্সও হারাতে পারেন ড্রাইভাররা। সেইফ লাইফ নামে নতুন এ স্কীমটি শুধু লন্ডনের ভেতরের রাস্তাগুলোয় কার্যকর হবে। মোটরওয়েতে তা কার্যকর হবে না।