শামীমা শাম্মী: সিলেটর নতুন নগর পিতা আরিফুল হক চৌধুরী পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখিয়ে সিলেট বাসীর মন জয় করে মসনদ ছিনিয়ে নিয়েছেন ১৮ বছর ক্ষমতায় থাকা সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের কাছ থেকে। এখন প্রশ্নবোধক চিহ্ন এসে দাড়িয়েছে আরিফের সামনে। আসলেই কি তিনি পরিবর্তন করতে পারবেন?
অপরিকল্পিত নগরী আর অনুন্নয়নের ছোয়ায় বঞ্চিত সিলেটকে কিভাবে তিনি ঢেলে সাজাবেন। আর দলীয় স্বার্থের উর্ধ্বে ওঠে তিনি কতটুক পূরণে সক্ষম হবেন। এরকম অনেক প্রশ্ন নিয়ে শীর্ষবিন্দু টিম হাজির হয়েছিলাম মেয়র আরিফের মুখোমুখি।
তিনি শীর্ষবিন্দুকে জানান, দেখুন, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য মেয়র হয়েছি। নগরবাসী যে আস্থা ও বিশ্বাস থেকে আমাকে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। আমার উচিত তাদের প্রতিদানকে মূল্যায়ন করে এর প্রতিফলন দেখানো। সংগ্রাম করে হলেও আমি এর বাস্তবায়ন দেখাবো।
বিশ্নেষকদের মতে, আরিফের সামনে যে সকল কঠিন চ্যালেঞ্জ তিনি মাথা পেতে নিয়েছেন। মনে হয় না সবগুলো তার পক্ষে সম্ভব হবে। কারন হিসেবে তারা উল্লেখ করেন যখনই তিনি খাল উদ্ধার করতে যাবেন বা সড়ক প্রস্বস্থ করতে যাবেন। দলীয় বাধা আসবেই। তাকে হারাতে হবে দলীয় জনপ্রিয়তা। যার প্রভাব পড়বে পরবর্তী নির্বাচনে দলীয় নেতা কর্মীরা তার হয়ে মাঠে কাজ না এর বিপরীত করবেন। কামরানের ভরাডুবির কারণ হিসেবে রাজনৈতিক বিশ্লেসকরা এভাবেই তুলে ধরলেন। কামরান যে কিছু করেননি তা কিন্তু নয়। অনেক করেছেন আবার করতে পারেন নি। বিভিন্ন বাধার মুখের পিছু হটতে হয়েছে তা্কে। নির্বাচনের সময় এ রকম ভিন্ন সমস্যা সামনে চলে আসায় তার ভাল কাজের দিকগুলো দেখা যাচ্চে না বলে তারা জানান।
আরিফ অবশ্য তথ্যপ্রযুক্তির নগরী গড়তে আগেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। নতুন করে জানালেন চট্রগ্রামের মতো নগর বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুরবেন তিনি। এছাড়াও পরিবর্তনের পক্ষে বড় একটা রায় এসেছে যা তার পেছনে তরুণ-যুব সমাজের অংশের বড় একটি ভোট পড়েছে তার বাক্সে।
আরিফ বিএনপির কেন্দ্রিয় পর্যায়ের নেতা আর তাই নগর ভবনের দায়িত্ব পালনে কতটুকু নিরপেক্ষভাবে দুয়িত্ব পালনে সক্ষম হবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখুন, মেয়র হিসেবে আমি যখন নগর ভবনে বসবো, তখন আমি দলের প্রতিনিধি হিসেবে নয়, এই নগরবাসীর প্রতিনিধি হিসেবে বসব। আমি অনেক নগরবাসীর কাছ থেকে নিয়েছি। এবার আমার দেবার পালা। আপনাদের সহযোগিতায় আমি একটি লিটল লন্ডন হিসেবে সিলেটকে রুপান্তরিত করে আমার নগরবাসীদেরকে উপহার দিতে চাই।
Leave a Reply