শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: হঠাৎ করেই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে নিয়ে নতুন গুঞ্জন শুরু হয়েছে। আর এই গুঞ্জনের সূত্রপাত হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরশাদ ও দলটির নেত্রী ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকারের একটি ছবি পোস্ট করার পর। কয়েকদিন ধরে এই ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে ক্যাপশন লিখে দেওয়া হচ্ছে যে, বিয়ে করেছেন এরশাদ।
এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ফোন করে মানুষ জানতে চাচ্ছেন ঘটনা সত্যি কি-না। মিডিয়ার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এরশাদের প্রেস ও পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভরায় বলেন, এটি একটি মিলাদ মাহফিলের ছবি। ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকারের ল’চেম্বার উদ্বোধনের সময় ছবিটি তোলা হয়।
তিনি বলেন, কিছু লোক আমাদের চেয়ারম্যানের সম্মান নষ্ট করতেই পরিকল্পিতভাবে ‘এরশাদ বিয়ে করেছেন’ বলে অপবাদ ছড়াচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বোগাস তথ্য।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এরশাদের অনুসারী জাপার আরেক নেতা এ বিষয়ে বলেন, চাঁদপুরের একজন ব্যক্তি এ কাজটা করেছে। ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকারের সঙ্গে তার মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু বিরোধ সৃষ্টি হওয়ার পর সে এটা করেছে। আর এটার পেছনে ইন্ধন যোগাচ্ছেন জাতীয় পার্টি থেকে চলে যাওয়া কয়েকজন নেতা। চাঁদপুরের ওই ব্যক্তিটি একটি রাজনৈতিক দলের নেতা। তার বিরুদ্ধে মানহানি মামলাও করা হতে পারে।
এদিকে, ব্যারিস্টার দিলারার ফেসবুকে দেখা গেছে ২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর তিনি ছবিটি পোস্ট করেছেন। ক্যাপশন লিখেছেন, এরশাদ ব্যারিস্টার দিলারার একটি মাহফিলে যোগ দিয়েছেন।
আর গত ৬ এপ্রিল ব্যারিস্টার দিলারা তার ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আমি এই নোংরা ব্যাপার সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের একজন আইনজীবী হিসেবে আমি জাানি, এই নোংরা বিষয়ের মোকাবেলা কীভাবে করতে হবে। আমি সত্যিই আপনাদের সমর্থনের প্রশংসা করি।