শীর্ষবিন্দু নিউজ: পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন।
প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ক্রমে সর্বসাধারণ ছাড়াও বিশিষ্ট ব্যক্তি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, বিচারক, কূটনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন।
গণভাবনে আগতদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা ছাড়াও কুশল বিনিময় করছেন শেখ হাসিনা। ঈদের দিন প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে আমন্ত্রিতদের মধ্যে বাড়তি আনন্দ যোগ হয়। শেখ হাসিনা একই স্থানে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিচারক ও কূটনীতিবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন।
পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে খালেদা জিয়া শেরেবাংলা নগরে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন। স্বামীর কবর জিয়ারত শেষে খালেদা জিয়া তাঁর গুলশান বাসায় চলে যান। বাসায় তিনি স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছেন।
এরআগে সকালে তিনি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশিষ্ট নাগরিক, বিদেশি কূটনীতিক, দলীয় নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। দলীয় নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎকালে তিনি সরকারি কোষাগারের টাকা নিজেদের প্রচারণায় ব্যয় না করে জনপ্রিয়তা যাচাই করতে অবিলম্বে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
বিরোধী দলীয় নেত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেন, সরকারি কোষাগারের টাকা ব্যয় করে নিজেদের প্রচারণায় ব্যস্ত সরকার। যদি ভালো কাজ করেই থাকেন, যদি নিজেদের জনপ্রিয় মনে করে থাকেন, তাহলে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। তিনি বলেন, সরকার প্রতি পদে পদে ব্যর্থ। তাদের কারণে দেশবাসী ভালো নেই। কেউ শান্তিমতো ঈদও করতে পারছেন না। সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরে খালেদা বলেন, জনগণ এ সরকারকে আর এক মুহূর্তও দেখতে চায় না।
গত ৫ বছর গুলশান লেডিস ক্লাবে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করলেও এবারই প্রথম বড় পরিসরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন খালেদা জিয়া। সকাল ১১টায় শুরু হওয়া এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রথমে তিনি বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপরে তিনি অন্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। দুপুর ১২টা নাগাদ অনেক সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মী সেখানে জড়ো হন। খালেদা জিয়া সবার সঙ্গে দেখা করার ঘোষণা দিলে পুরো বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে লোকজনের লাইন লম্বা পড়ে যায়। অনেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খালেদার সঙ্গে দেখা করতে যান।
Leave a Reply