শীর্ষবিন্দু নিউজ: তিন দিনের টানা হরতালের শেষ দিন আজ। কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে ঢাকা। এরই মধ্যে জেলায় জেলায় সহিংসতা। মাঠ দখলে নিতে ১৮ দলের কর্মীদের মরিয়া চেষ্টা। দিনভর বিক্ষো, মিছিল সংঘর্ষ চলছে বিভিন্ন স্থানে।
হরতালের প্রথম দিনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের পাঁচ কর্মী মারা গেছেন। দ্বিতীয় দিনেও সহিংসতা হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। এর আগে হরতালে র্যাব পুলিশের ভয়ে বিরোধী জোটের নেতাকর্মীরা গুটিয়ে থাকতেন। এই হরতালে তারা সরব। প্রকাশ্যে মিছিল সমাবেশ করছেন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেকক্ষেত্রে নমনীয়। পরিস্থিতি দেখে এগোচ্ছে তারা। মাঠে আছে আওয়ামী লীগও।
এর মধ্যেও ক্ষমতাসীন দলের কার্যালয়ে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটছে। হরতাল আন্ত:জেলা বাস চলাচল বন্ধ। ট্রেন লাইন উৎপাদন করা হচ্ছে। ট্রেনে হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। সহিংসতার কারণে নৌ পথেও যাত্রী পরিবহন কমে গেছে। প্রথম দিনের হরতালের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে রাজধানী অনেকটাই ফাঁকা। রাস্তায় লোকজনের উপস্থিতি কম। কমছে যানবাহন। ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের কারণে ভীত সন্তস্ত্র মানুষ। কেউ পারতপক্ষে অনিরাপদ রাস্তায় নামতে চাইছেন না।
আজ শেষ হচ্ছে তিন দিনের হরতাল। এর মধ্যে সংলাপের প্রক্রিয়া চলছে। বিরোধী দল বলছে সংলাপ এবং আন্দোলন একই সঙ্গে চলবে। হরতাল শেষে আবারও কর্মসূচি দেয়া হচ্ছে। এটি হরতাল বা অবরোধ হতে পারে। অসহযোগের ডাক আসতে পারে। সব মিলিয়ে আসন্ন আন্দোলন কর্মসূচিতে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে রাজধানী। বিরোধী দল থেকে এমন আভাসই দেয়া হচ্ছে।