শীর্ষবিন্দু নিউজ: আগামী ৪ নভেম্বর সারাদেশে একযোগে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরুর কথা রয়েছে। এর প্রথম দুটি পরীক্ষাই পড়েছে হরতালের মধ্যে। অস্থির রাজনীতিতে পরবর্তী পরীক্ষাগুলোও সময়মতো হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে এখন অভিভাবকরা। পাবলিক পরীক্ষার মধ্যে বিরোধী দলকে হরতাল না দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
এর আগে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মধ্যেও হরতাল ছিল বিএনপি-জামায়াতের। তার কারণে বারবার পরীক্ষা পেছানোয় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। হরতালের কারণে গত এসএসসি ও সমমানের পাঁচটি পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় ৩৭টি বিষয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। আর এইচএসসিতে হরতালের ফলে ৩২টি বিষয়ের পরীক্ষাসূচি পরিবর্তন করায় পিছিয়ে যায় ৪১টি পরীক্ষা।
তারপরও হরতালের ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, দেশের নতুন প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিতেই বিরোধী দল এমন বিবেকহীন-দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মসূচি দিয়েছে। হরতালের মধ্যে পরীক্ষা নেয়া হবে কি না, শিক্ষামন্ত্রী রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সেই সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম ওয়াহিদুজ্জান। এছাড়া আগামী ২০ নভেম্বর থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, নভেম্বর-ডিসেম্বরজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা এবং ডিসেম্বর মাসে দেশের বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই বার্ষিক পরীক্ষা হবে।
পাবলিক পরীক্ষার মধ্যে হরতালের ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করলে পরীক্ষার্থীরা নিরাপদ থাকতে পারে না। বারবার পরীক্ষার্থীরা যদি এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচির বলি হয়, তাহলে রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে তাদের মনে অন্য রকম ধারণা হতে পারে।