শীর্ষবিন্দু নিউজ: প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তায় উদ্বিগ্ন বঙ্গভবন। দেশের প্রেসিডেন্টের অফিস ও বাসভবনের চারপাশে বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের কারণে তাদের এ উদ্বেগ দিন দিন বাড়ছে। বিষয়টি জানিয়ে দফায় দফায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)-এর চেয়ারম্যানকে চিঠি দিচ্ছে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের আপন বিভাগ।
সর্বশেষ গত ২৭শে অক্টোবর রাজউকের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বঙ্গভবনের আপন বিভাগ জানায়, বঙ্গভবন প্রেসিডেন্টের অফিস এবং বাসভবন বিশেষ শ্রেণীর কেপিআই এলাকা। এ কারণে বঙ্গভবনের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এর চারপাশে যে কোন ধরনের কাঠামোর নকশা অনুমোদনকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত ‘বাংলাদেশের কেপিআই নিরাপত্তা বিষয়ক নীতিমালা’ যথাযথভাবে অনুসরণ আবশ্যক। বঙ্গভবনের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু সুপারিশ আকারে এর আগে চিঠি দেয়া হয়েছিল।
এরপরও সানমুন স্টার টাওয়ার, ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা তাদের ১১ তলা ভবনকে ২৪ তলায় উন্নীত করেছে। এ কারণে সমগ্র বঙ্গভবন ওই ভবন থেকে দৃষ্টিসীমার মধ্যে দৃশ্যমান হয়ে পড়েছে- যা বঙ্গভবনের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মর্মে প্রতীয়মান হয়। এর আগে গত ২১শে মে বঙ্গভবনের আপন বিভাগ থেকে পাঠানো আরেকটি চিঠিতে জানানো হয়, সামপ্রতিক বছরগুলোতে বঙ্গভবনের চারপাশের অতি নিকট দূরত্বে অনেক বহুতলবিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হয়েছে এবং এখনও অনেক ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে।
এসব ভবন এত কম দূরত্বে অবস্থিত যে, বঙ্গভবনের মূল ভবনের বাইরে প্রেসিডেন্টের কোন অনুষ্ঠানের জন্য সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। চিঠিতে বলা হয়, অতি সমপ্রতি পরিদর্শনকালে খোদ প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং যত দ্রুত সম্ভব এব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এমন অবস্থায় বঙ্গভবন তথা প্রেসিডেন্ট এবং এখানে আগত অন্যান্য ভিআইপির যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে চার ধরনের সুপারিশ করা হয়েছে।
সুপারিশে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ বঙ্গভবনের চারপাশে এ ধরনের বহুতল ভবন সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে চিহ্নিত করা প্রয়োজন। এছাড়া, চিহ্নিত ভবনগুলো থেকে সম্ভাব্য নিরাপত্তার হুমকি রোধ করতে ভবনের অবকাঠামোগত পরিবর্তনের ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে বঙ্গভবনের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে এমন নিকট দূরত্বে এমন যে কোন বহুতলবিশিষ্ট ভবন নির্মাণের অনুমতি দেয়া বন্ধ করতে হবে এবং বঙ্গভবনের নিরাপত্তা প্রাচীরের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যক্তি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ভবন বা বাণিজ্যিক ভবনের প্রাচীর বা স্থাপনা অপসারণ করতে হবে।