সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩১

শর্ত ছাড়াই দুই দলের সংলাপ হওয়া উচিৎ

শর্ত ছাড়াই দুই দলের সংলাপ হওয়া উচিৎ

শীর্ষবিন্দু নিউজ: নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে কোনো শর্ত ছাড়াই প্রধান দুই দলের মধ্যে সংলাপ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল। এছাড়া অবিবেচনাপ্রসূত হরতাল এবং হরতালে সহিংসতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য রাজনীতিবিদদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন টিআইবির কর্মকর্তারা।

শনিবার মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির চেয়ারম্যান ও নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ অবস্থান তুলে ধরেন। ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি: সুশাসনের সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ শিরোনামের এই সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে টিআইবির উপ-নির্বাহী পরিচালক ড. সুমাইয়া খায়ের এবং গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মো. রফিকুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।  টিআইবির ডেপুটি প্রোগাম ম্যানেজার (রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি) নীনা শামসুন নাহার গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

সুলতানা কামাল বলেন, আমি মনে করি, আলোচনার সম্ভাবনা এখনো ফুরিয়ে যায়নি। আলোচনার ব্যাপারে সরকারি দল জোরেসোরেই এগিয়ে এসেছে। বিরোধী দলও বলেছে-নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শর্ত মেনে নিলে তারা আলোচনায় আসবে। তবে আমরা মনে করি, আলোচনা নিঃশর্তভাবেই হওয়া উচিৎ।

বিরোধী দলের কর্মসূচিতে রাজপথে কারা অরাজকতা করছে তা খুঁজে বের করার দাবি জানিয়ে সুলতানা কামাল বলেন, আমরা জানি না, এসব কে বা কারা করছে। কিন্তু এর মধ্যে সহিংসতার ব্যাপারগুলি যুক্ত হয়ে গেছে। আমাদের জনজীবন বিপর‌্যস্ত হওয়ার ব্যাপারটি এখানে চলে এসেছে। দেশের কথা চিন্তা করেই দুই নেত্রীকে সমঝোতায় আসতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের দুই নেত্রীই প্রায় বলে থাকেন, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। যদি সমঝোতায় তারা না পৌঁছাতে পারেন, তবে তারা এই কথাটি সৎভাবে বলেন কি না তা আমাদের প্রশ্ন করতে হবে। এবং নাগরিক হিসেবে তাদের সেই কথাটি বারবার মনে করিয়ে দেয়া আমাদের দায়িত্ব।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, হরতাল একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার। দাবি আদায়ের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো এটি ব্যবহার করতেই পারে, আমরা তার বিপক্ষে কখনোই অবস্থান নেই না। তবে বিরোধী দলের ডাকা এই হরতালকে আমরা অবশ্যই মনে করি অবিবেচনাপ্রসূত। তিনি বলেন, হরতাল সংস্কৃতি যেভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলছে এবং মানুষ যেভাবে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়ছে তাতে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন, অর্থনৈতিক সূচক সবকিছুই হুমকির মুখে পড়ছে। এ বিষয়গুলো রাজনৈতিক নেতাদের বুঝতে হবে। হরতালের বিষয়ে একটি নীতিমালা করে তা মেনে চলারও সুপারিশ করেন তিনি।

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে রাজনৈতিক সঙ্কটের আশঙ্কার মধ্যে গত ২৬ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা সংলাপে বসতে খালেদা জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানালেও হরতালের মধ্যে সে আমন্ত্রণ রক্ষায় রাজি হননি তিনি। হরতাল প্রত্যাহারের অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করেন বিরোধী নেত্রী। এরপর পুনরায় সংলাপের আমন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষ পরস্পরকে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়ে আসছে। এরইমধ্যে আগামী ৪-৬ নভেম্বর পর্যন্ত ৬০ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বিরোধী দল।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025