শীর্ষবিন্দু নিউজ, ঢাকা: কানেকটিভিটির মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দৃঢ় হচ্ছে, বলেছে দ্য ডিপ্লোম্যাট। তাদের মতে, পূর্ব এশিয়াকে যোগ করলে বাংলাদেশ হয়ে উঠবে এশিয়ার কমিউনিকেশন হাব।
ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড হাইওয়ে প্রকল্পে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। বাণিজ্য ও কৌশলগত কারণে, বিশেষত কোভিড-১৯ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে অর্থনৈতিক উত্তরণে বাংলাদেশ এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এমনিতেই ভারতের মূল অংশের সঙ্গে উত্তর পূর্ব রাজ্যগুলোর যোগাযোগের হাব হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর তো বটেই, দিনাজপুর জেলার হিলি থেকে মেঘালয়ের মেহরানগঞ্জ পর্যন্ত আরেকটি যোগাযোগ হাব গড়ে তুলতে চায় ভারত। বাংলাদেশ অনেকবারই বলেছে, তারা সিঙ্গাপুরের মতো আন্তর্জাতিক যোগাযোগ হাব হতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিপক্ষীয় হাইওয়েতে বাংলাদেশকেও যুক্ত করতে হবে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ এই প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে আসলে ভারতের না করার সুযোগই নেই। কারণ নিজ স্বার্থেই ভারতের কানেকটিভিটি জরুরি।
এই আন্তঃসীমান্ত হাইওয়ের দৈর্ঘ্য ১৩ হাজার ৬০০ কিলোমিটার। যা ভারতের মোরেহ, মিয়ানমারের বাগান এবং থাইল্যান্ডের মাই সোটকে যুক্ত করবে। চলতি বছরেই নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা।
বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া নেপাল নেটওয়ার্ক সচল হবার পর বাংলাদেশ প্রকৃতপক্ষেই পরিণত হবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মেলবন্ধনে। মাতারবাড়ি ও পায়রা বন্দরকেও কাজে লাগাতে চায় সরকার।