তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসের সীমানা ছাড়িয়ে দেশের নানা জায়গায় বিক্ষোভ চলছে। চলমান সংকটের মধ্যেই তিউনিসিয়ায় আগামী একমাসের জন্য কারফিউ জারি করলেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ।
প্রধানমন্ত্রীকে অবৈধভাবে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে স্লোগান দিচ্ছেন তার সমর্থকরা। সেইসঙ্গে উন্মুক্ত স্থানে জনসমাগম পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিচার মেচিচি-এর সরকারকে বরখাস্তের পর দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে এই কঠোর পদক্ষেপ নিলেন প্রেসিডেন্ট।
চলমান সংকট উত্তরণে তাদিগ দিচ্ছেন বিশ্বের অনেকে দেশের রাষ্ট্র প্রধান। তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মন্ত্রী অ্যান্থোনি ব্লিংকেন তিউনিসিয়ার গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের বিষয়গুলো মেনে চলার আহ্বান জানান।
এতে দেশজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলাবার এক বিবৃতিতে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ ঘোষণা করেন, ২৭ জুলাই হতে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত কারফিউ চলবে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত রাত্রিকালীন কারফিউর ঘোষণা দেন তিনি। একইসঙ্গে জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকারের অব্যবস্থাপনার জেরে সহিংস বিক্ষোভের পর তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ গত রবিবার সন্ধ্যায় দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন। আগামী ৩০ দিনের জন্য সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন পার্লামেন্ট। প্রেসিডেন্টের এমন পদক্ষেপকে বিরোধীরা ‘অভ্যুত্থান’ হিসেবে অভিহিত করেছে। তবে বিরোধী এবং আন্দোলনকারীদের এমন অভিযোগ নাকচ করেছেন প্রেসিডেন্ট সাঈদ।
Leave a Reply