শীর্ষবিন্দু নিউজ: স্বাধীনতা অর্জনের ৪২ বছর পরও একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের অভাব বাংলাদেশ অনুভব করছে। নির্বাচনকালীন সরকার এবং সুষ্ঠুু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে জনগন একটি ঘ্যাড়াকলের মাঝে আটকে আছে। অন্ধকারকে গালিগালাজ না করে আসুন একটি করে মোমবাতি জ্বালাই। শনিবার সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেট জেলা কমিটি আয়োজিত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন: নাগরিক অধিকার ও দায়িত্ব শীর্ষক সিলেট বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার একথাগুলো বলেন।
সুজন সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা কমিটির সম্পাদক সৈয়দ জিয়াউস শামস এর পরিচালনায় সিলেট সিটি কর্পোরেশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, ড. জহির বিন আলম, সিলেট জেলা বারের সাবেক সভাপতি এডভোকেট এমাদুল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহিন, মদন মোহন কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, ব্যারিষ্টার আরশ আলী, শাবিপ্রবির সহযোগী অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম, ভাসানী ফাউন্ডেশনের সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ আশরাফ হোসেন, জাতীয় পার্টি সিলেট জেলা শাখার সহ সভাপতি ইশরাকুল ইসলাম শামিম, গণফোরামের জেলা সভাপতি এডভোকেট নীলেন্দু দে, জাসদ সিলেট জেলা এর সাধারণ সম্পাদক লোকমান আহমদ, কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সভাপতি এডভোকেট বেদানন্দ ভট্টাচার্য্য, শাবিপ্রবির সহযোগী অধ্যাপক জাফরিন আহমদ লিজা, এডভোকেট শহিদুল ইসলাম, গোলাম সোবহান চৌধুরী, ধ্রব জ্যোতি দে।
এ সময় সুজন সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্র জনগনের সাংবিধানিক অধিকার। নির্বাচিত সরকার যদি সুশাসন, ন্যায় ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে দূর্নীতিমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করে তবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব। জনগনের মতামতের প্রতিফলন হলো সংবিধান। পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন আছে অনেকের। সহিংসতা ও হরতালের ফলে নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। নাগরিকদের অবস্থান থেকে কোন ধরনের কথা বললেই বিপদ। একতরফা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। আবার নির্বাচন করতে না পারলেও দেশের ভবিষ্যৎ হবে অনিশ্চিত। কাজেই সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুকুল পরিবেশ গড়ে তোলার জন্যে আমাদেরকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, নাগরিকদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরকে সবসময় নাগরিকদের সুযোগ-সুবিদের দিকে লক্ষ রাখতে হবে। সিলেটের নাগরিকদের সুবিদের জন্যে ছড়াগুলোতে সৃষ্ট অবৈধ স্থাপনাসমুহ সরানো হচ্ছে। জলাবদ্ধতা রোধ করার জন্য কাজ করা হচ্ছে। দেশের বিত্তশালীদের অধিকাংশই ব্যবসার জন্য চিন্তা করেন, কিন্তু দেশের জন্য খুবই কম ভাবেন। বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক সংকীর্ণতার গন্ডি থেকে যতদিন না বেরিয়ে আসতে পারবো ততদিন পর্যন্ত এদেশে শান্তি কামনা করা সম্ভবপর হবেনা। রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়ে জনগন কুরবানী হচ্ছে। দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে। সকল রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা বাড়াতে হবে।