শীর্ষবিন্দু নিউজ: বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিরাজমান সঙ্কট ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে এদেশের সাধারণ মানুষই একদিন রাস্তায় নেমে আসতে পারে, ব্যক্ত করতে পারে তাদের হতাশা। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল এক নিবন্ধে লিখেছেন এ কথা। তার তিনদিনের ঢাকা সফর চলাকালেই বার্তা সংস্থা রয়টার্স তার ‘দক্ষিণ এশিয়ায় গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম’ শিরোনামে নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়।
নিবন্ধে নিশা বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। আসছে শীতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনটি কিভাবে হতে পারে তা নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপি দ্বন্দ্বে লিপ্ত। এতে রাজনৈতিক অস্থিরতা ক্রমেই বাড়ছে। রাস্তায় মিছিল, সমাবেশ, ধর্মঘট চলছে যা প্রায়শই হয়ে উঠছে ধংসাত্মক ও সহিংস। নিশা দেশাই বলেন, দুই পক্ষ আগামী নির্বাচনকালীন অন্তরবর্তী সরকারের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছতে যত দেরি করবে, দেশের সাধারণ মানুষের রাস্তায় নেমে হতাশা ব্যক্ত করার বিষয়টিও ততই ত্বরান্বিত হবে। ঔপনিবেশিক শাসনের পর এই প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার সবক’টি দেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার আওতায় আসে। ভুটান থেকে বাংলাদেশ, কাবুল থেকে কাঠমান্ডু সর্বত্রই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো সক্রিয়। এসব দেশের মানুষ নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারছে কে তাদের শাসন করবে কিভাবে পরিচালিত হবে রাষ্ট্রযন্ত্র। উল্লেখ করেছেন নিশা।
তবে এরই মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল ও মালদ্বীপে সঙ্কট উদ্বেগজনক অবস্থায় পৌঁছেছে। এ অবস্থায় দক্ষিণ এশিয়ার গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। এই প্রক্রিয়ার সুরক্ষায় ভূমিকা রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে দক্ষিণ এশিয়ার গণতান্ত্রিক দলগুলোর নেতৃত্বের প্রতি ওই প্রবন্ধে আহ্বান জানান নিশা দেশাই। বিশ্বাসযোগ্য, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার মধ্য দিয়েই দক্ষিণ এশিয়ার দেশে দেশে এই গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব বলে মত দেন এই মার্কিন কূটনীতিক।