প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন আশফাকুল ইসলাম। আজ শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে আইন মন্ত্রণালয়ের সূত্র এ কথা জানিয়েছে।
প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পদত্যাগ দাবিতে আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বর্ধিত ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা।
পরে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান। বেলা দুইটার দিকে আন্দোলনকারীরা হাইকোর্ট এলাকা ছেড়ে চলে যান। এর আগে দুপুরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগের দাবিতে আলটিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের দুপুর ১টার মধ্যে পদত্যাগের আলটিমেটাম দেয় তারা।
শনিবার বেলা ১১টায় হাইকোর্ট চত্বরে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এ আলটিমেটাম দেন। এ সময় শত শত শিক্ষার্থী হাইকোর্টের ভেতরে ঢুকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের রাজনৈতিক পরিচয়ধারী বিচারপতিদের পদত্যাগের আহ্বান জানায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বিচারপতিদের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেন।
শনিবার আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। এর আগে ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে স্থায়ী নিয়োগ পান।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে ছাত্রদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন ওবায়দুল হাসান। ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগপত্র আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। কর্মকর্তারা এ নিয়ে কাজ করছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে এ সম্পর্কিত প্রজ্ঞাপন দেওয়া হবে।
Leave a Reply