খুচরা বিক্রেতাদের মতো সাধারণ ভোক্তাদেরও দাবি, অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণেই কমছে না নিত্যপণ্যের দাম। এতে বেকায়দায় পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ।
আইন মেনে গেল মার্চে মাছ-মাংস-ডিম সবজিসহ ২৯টি কৃষি পণ্যের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে সরকারি সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদফতর।
সেপ্টেম্বরে সেই দাম কিছুটা বাড়িয়ে ব্রয়লার-সোনালী ও ডিমের দাম পুনরায় নির্ধারণ করে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। প্রশ্ন হলো বাজার বাস্তবতা কী?
সেপ্টেম্বরের শেষে এসে দেখা যাচ্ছে, নির্ধারিত দামে বাজারে মিলছে না কোনো পণ্যই। কেন বাজারে সেই দামের বাস্তবায়ন নেই?
এমন প্রশ্নে কৃষি বিপণন অধিদফতর বলছে, একদিকে ঠেকানো যাচ্ছে না হাত বদলে মুনাফা লুটের প্রবণতা অন্যদিকে রয়েছে ব্যবসায়ীদের স্বদিচ্ছার অভাব।
অবশ্য এমন সহজ সরল পথে হাঁটছেন না পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তারা সামনে আনছেন চাহিদা-যোগানের সম্পর্ককে।
আর খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, এখনও বাজারে সক্রিয় রয়েছে ইচ্ছেমতো দামে পণ্য বিক্রি করা সিন্ডিকেট।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে সরকারকে মনিটরিং পলিসি ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি বৃহৎ শিল্প গ্রুপকেও দায়বদ্ধতার আওতায় আনতে হবে।
বাজার ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে পারলে মূল্যস্ফীতি অনেকাংশে কমে আসবে বলেও মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
ভোক্তাকে স্বস্তি দিতে সরকার নিত্যপণ্যে যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও বাজার সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় সাধারণ মানুষ।
ক্রেতা-বিক্রেতা এমন অভিযোগ করলেও উল্টো ব্যবসায়ীদের স্বদিচ্ছার অভাবকেই দায়ী করছে কৃষি বিপণন অধিদফতর।
এমন দাবি আর অভিযোগের মধ্যেই যখন অযৌক্তিক দামে পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ভোক্তা, তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শক্তশালী বাজার কাঠামো গড়ের তোলার তাগিদ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।
Leave a Reply