বিরোধী দলের অবরোধের তৃতীয় দিনেও রেলপথে নাশকতা চলতে থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থানে রেল যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে রেলের সূচি। নাশকতা ঠেকাতে রেললাইনজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে রেললাইনে নাশকতার কারণে রেলের সূচিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।
বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলন্ত ট্রেনে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে অবরোধকারীরা। ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থেকেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগ। রেললাইনের ফিসপ্লেট উপড়ে ফেলা হয়েছে লালমনিরহাটে। আর লাইন উপড়ে ফেলায় রেল চলাচল ব্যাহত হয়েছে বগুড়ায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী পারাবত ট্রেনকে লক্ষ্য করে চারটি হাতবোমা ছুড়েছে অবরোধকারীরা। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগরে রেললাইনের ফিসপ্লেট খুলে ফেলায় প্রায় পাঁচ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। রেললাইনের ফিসপ্লেট খুলে ফেলায় কুমিল্লার অশোকতলায় উদয়ন এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ায় প্রায় ১১ ঘণ্টা চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা ও সিলেটের রেল যোগাযোগ ব্যাহত হয়।
রেললাইনের নাট-বোল্ট ও ক্লিপ খুলে ফেলায় মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুরে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ৩৭ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ পথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। রেললাইন উপড়ে ফেলায় বগুড়ায় আট ঘণ্টা ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। বগুড়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বিমল কুমার জানান, বুধবার গভীর রাতে বগুড়ার সাবগ্রামের ছাতিয়ান তলায় ৭২ ফুট রেললাইন উপড়ে ফেলে দুর্বৃত্তরা।
রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনের ব্যবস্থাপক খায়রুল বশীর জানান, বেলা ১২টা পর্যন্ত দেশের সব রুটে ট্রেন ছাড়া হলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে কোনো ট্রেন যায়নি। আর যেসব রুটে ট্রেন ছাড়া হয়েছে সেগুলোও চলছে ধীর গতিতে। ট্রেনের ধীর গতির কারণ সম্পর্কে খায়রুল বশীর বলেন, প্রথমত সতর্কতা। যাত্রীর নিরাপত্তাতো আছেই। কারণ ট্রেন লাইনের কোথায় কী অবস্থা তা রাতে বা দিনে বোঝা যায় না। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে সিগন্যাল পেতে দেরি হচ্ছে।