রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:২২

ভারতে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ালো

ভারতে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ালো

বাংলাদেশের পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভিসার’ মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত।

দেশটির কাছে বাংলাদেশ কর্তৃক হাসিনার প্রত্যর্পণের আবেদনের মধ্যেই মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলো দিল্লি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন হিন্দুস্তান টাইমস।

এতে বলা হয়, গত বছরের ৫ই আগস্ট হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগের পতনের পর বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যান তিনি।

এরপর থেকে দিল্লিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়টির সঙ্গে জড়িত একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, দিল্লিতে অবস্থানের সুবিধার্থে হাসিনার ‘ভিসার’ মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত সরকার।

ভারতে শরণার্থী বা রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো আইন না থাকায় হাসিনাকে ফেরত দেয়ার বিষয়ে চলা গুঞ্জন প্রত্যাখ্যান করেছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও) শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল। তবে তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া নিয়ে যে গুঞ্জন রয়েছে সেই কথাও অস্বীকার করা হয়েছে।

ভারতের কাছে হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধে সাড়া দেয়ার সম্ভাবনা খুব কম বলে এর আগে উল্লেখ করেছিল হিন্দুস্তান টাইমস। কেননা ঢাকা হাসিনাকে ফেরত নেয়ার জন্য এখনও চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেনি।

এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসিনাসহ আরও ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জোরপূর্বক গুম এবং হত্যার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা।

ভারত সরকার কর্তৃক হাসিনার ‘ভিসার’ মেয়াদ বাড়ানোর কথা এমন সময়ে এসেছে যখন বাংলাদেশে গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ৬ জানুয়ারি হাসিনার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বারের মতো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাসিনাসহ আরও ১১ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান বলেছেন, ২০০৯ সালে পিলখানায় ৭৪ জনকে হত্যাযজ্ঞের তদন্তের অংশ হিসেবে হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ভারতে যেতে চান তারা।

হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, ঢাকার বর্তমান পদক্ষেপগুলোকে হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের ওপর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রমবর্ধমান চাপ সৃষ্টির প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে।

হাসিনা কোথাও আশ্রয় চেয়েছেন বা তার ভিসা প্রত্যাহার করা হয়েছে- এমন খবর প্রত্যাখ্যান করেছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

গত বছরের আগস্টে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে জয় বলেছেন, কেউ তার ভিসা বাতিল করেনি। তিনি কোথাও রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনও করেননি। এসব কথা গুজব বলে দাবি করেছেন জয়।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024