দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তাধীন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আর্থিক সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠায় পদত্যাগ করেছেন যুক্তরাজ্যের আর্থিক পরিষেবা মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক।
এবার, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ধনকুবের ও নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইলন মাস্ক টিউলিপ সিদ্দিককে ‘দুর্নীতিবাজ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক বলেন, শিশুকল্যাণের দায়িত্বে থাকা লেবারমন্ত্রী দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করছেন। তাদের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী আজ নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত। যদিও সিদ্দিক সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, জানিয়েছেন সরকারকে ‘বিভ্রান্তি’ থেকে দূরে রাখতে পদত্যাগ করেছেন তিনি।
সমালোচকরা টিউলিপ ও তার পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত সম্পত্তির পাশাপাশি বাংলাদেশি অবকাঠামো প্রকল্পে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার, অবিলম্বে সিদ্দিকের জায়গায় এমা রেনল্ডসকে নিয়োগ করেছেন।
উল্লেখ্য, লন্ডনে উপঢৌকন পাওয়া দুটি ফ্ল্যাটের তথ্য গোপন করেছিলেন টিউলিপ। এ বিষয়ে দুই বছর আগে মিথ্যাও বলেছিলেন তিনি। সেসময় তিনি বলেছিলেন, ফ্ল্যাটগুলো তাকে তার বাবা-মা দিয়েছেন। তবে সম্প্রতি আসল গোমর ফাঁস করে দিয়েছে লন্ডনের একাধিক পত্রিকা।
তাদের খবরে বলা হয়েছে, টিউলিপকে ফ্ল্যাট দুটি দিয়েছেন তার খালা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দল আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ দুই ব্যক্তি। তাদের মধ্যে একজন আবাসন ব্যবসায়ী আব্দুল মোতালিফ এবং অন্যজন মঈন গণি। এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে পদত্যাগের চাপে পড়েন হাসিনার ভাগ্নি। অবশেষে নানা জল্পনা-কল্পনার পর গত মঙ্গলবার মন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ।
টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) ছিলেন। তার ওপর ছিল দেশের আর্থিক খাতে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্ব। কিন্তু বাংলাদেশে দুর্নীতির একটি মামলায় তার মা, ভাইবোন এবং খালার পাশাপাশি তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর থেকেই তার ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়ছিল। যদিও টিউলিপ সিদ্দিক এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
Leave a Reply