যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর পরিবার এবং প্রিয়জনদের সাথে দেখা করার অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সহিংসতা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। একের পর এক চালানো হচ্ছে বোমা হামলা।
আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদন বলছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে সবার মিশ্র অনুভূতি দেখা যাচ্ছে। কিছু মানুষ খুব খুশি, কেউ কেউ খুব সাবধানী। অন্যরা আগামী রোববার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার দিন গণনা করছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো আটকে আছেন অনেকের প্রিয়জন।
গাজায় শিশুরা স্লোগান দিচ্ছে আর জিজ্ঞেস করছে, ‘যুদ্ধবিরতি কখন হবে? আমরা কবে উত্তরে আমাদের বাড়িতে ফিরে যাব?’ শিশুরেই সবচেয়ে বেশি অপেক্ষা করছে যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, চুক্তির কথা ঘোষণার পর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি ১৫ জানুয়ারি রাতে ঘোষণা করেন, দোহা, কায়রো ও ওয়াশিংটন গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি ঘোষণার জন্য ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি চুক্তির মধ্যস্থতা করেছে। তিনি বলেন, আগামী ১৯ জানুয়ারি (রোববার) থেকে এ চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা।
কাতারি কর্মকর্তার মতে, প্রাথমিক ৪২ দিনের পর্যায়ে হামাস ৩৩ জন ইসরায়েলি সামরিক ও বেসামরিক নারী জিম্মি, আহত বেসামরিক, শিশু এবং বৃদ্ধদের মুক্তি দেবে। বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেবে।
একটি সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গাজা সীমান্ত থেকে অন্তত ৭০০ মিটার দূরে সেনা প্রত্যাহার করবে ইসরায়েল। চুক্তির প্রথম ধাপে উভয় পক্ষই গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারসহ পরবর্তী পর্যায়ের শর্তাবলী নিয়ে আলোচনার পরিকল্পনা করছে।
Leave a Reply