রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৯

টিউলিপের মত পরিণতি হতে পারে পুতুলের

টিউলিপের মত পরিণতি হতে পারে পুতুলের

দুর্নীতি, তথ্যগোপন ও অর্থ আত্মসাতের মত একের পর এক অভিযোগের চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মন্ত্রী এবং শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। এবার টিউলিপের মত পরিণতি হতে পারে শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের।

অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপেই যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদ বাগিয়ে নেন সায়মা ওয়াজেদ। আর এসব কারণেই এবার পুতুলও চাপের মুখে পড়তে যাচ্ছেন বলে দ্যা প্রিন্টে এক নিবন্ধে লিখেছেন কলকাতাভিত্তিক সাংবাদিক মনদ্বীপা ব্যানার্জি।

প্রতিবেদনে তিনি বাইবেল থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, বাবার পাপের দায় ছেলের ওপর পড়ে। তবে এক্ষেত্রে শেখ হাসিনার পাপের দায় পড়েছে তার বোনের মেয়ে টিউলিপের ওপর। যার কারণে টিউলিপ পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। এবার এই দায় পড়তে যাচ্ছে তার নিজ মেয়ে পুতুলের ওপর। যিনি ২০২৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হয়েছিলেন।

টিউলিপের পদত্যাগের পর থেকেই এবার সবার নজর শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের ওপর যিনি ২০২৩ সালের ১ নভেম্বরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

সাংবাদিক মনদ্বীপা ব্যানার্জি স্বাস্থ্য বিষয়ক জার্নাল ল্যানসেটের ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের একটি সম্পাদকীয় প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ওই প্রতিবেদনে পুতুলের প্রার্থীতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল।

তারা অভিযোগ করেছিল, মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করা পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হওয়ার যোগ্য না। অভিজ্ঞ ও যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র স্বজনপ্রীতির কারণে তিনি মনোনয়ন পেয়েছেন। এমন স্বজনপ্রীতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করবে।

এছাড়া ২০২৩ সালে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসও তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। এতে বলা হয়, আঞ্চলিক পরিচালক পদের জন্য সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সাথে আরেকজন প্রার্থী ছিলেন নেপালের শম্ভু আচার্য।

তিনি ছিলেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, যিনি ৩০ বছর যাবৎ সেখানে কাজ করছেন। এছাড়া জনস্বাস্থ্যের ওপর তার পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে। অন্যদিকে, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে কাজ করতেন। তার বেশিরভাগ কাজ ছিল অটিজম নিয়ে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সায়মা ওয়াজেদ স্কুল সাইকোলিজস্ট হিসেবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং তিনি একটি দাতব্য ও গবেষণা সংস্থা দেখাশোনা করেন। একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় বড় বাজেট নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা তার নেই।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আঞ্চলিক পরিচালক হওয়ার আগে পুতুল তার মা ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিভিন্ন সফরে যেতেন। দ্যা প্রিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করেছে যে, পুতুল কিভাবে চাকরি পেলেন। তার নিজের যোগ্যতার ভিত্তিতে নাকি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার মায়ের হস্তক্ষেপ।

দ্যা প্রিন্ট বলছে, সকলের দৃষ্টি এখন পুতুলের দিকে। এখন দেখার বিষয় যে পুতুলও তার খালাতো বোন টিউলিপের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে বাধ্য হন কিনা।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024