ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ওয়াশিংটনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের আগে ইউক্রেন সফরে দেশটির সঙ্গে ১০০ বছরের ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।
চুক্তির আওতায় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানো ও ইউক্রেনকে ভবিষ্যৎ ন্যাটো মিত্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
স্টারমারের আগমনের পরপরই কিয়েভের আকাশে ড্রোন হামলার আশঙ্কায় বেজে ওঠে সাইরেন। ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হামলা প্রতিহত করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
স্টারমারের প্রধানমন্ত্রীত্বের সময় এটি তার প্রথম ইউক্রেন সফর। তিনি রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে অটুট সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। যুদ্ধবিরতির যে কোনও চুক্তি ইউক্রেনের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে বলে জানান তিনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পর্ককে অতীতের যে কোনও সময়ের তুলনায় ঘনিষ্ঠ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, নতুন এই চুক্তি সম্পর্ককে সত্যিকার অর্থেই সর্বাত্মক করে তুলবে।
স্টারমার কিয়েভে বলেন, এই চুক্তি আমাদের দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান গভীর ভালোবাসার প্রতিফলন। এটি একটি মাইলফলক সহযোগিতা। চুক্তির আওতায় প্রতিরক্ষা শিল্পে যৌথ উন্নয়ন ও দুই দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার দেশের বাহিনী এখনও শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ছাড়া আমরা কোনও চুক্তি বিবেচনা করব না। চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা অপরিহার্য।
স্টারমার কিয়েভের একটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং নিহত ইউক্রেনীয় সেনাদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। যুদ্ধের ফলে আহত সেনাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন তিনি।
যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে ইউক্রেনকে ১৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে এবং আগামী বছরগুলোতেও এই সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। স্টারমার বলেন, যত দিন প্রয়োজন, আমরা সমর্থন দিয়ে যাব।
জেলেনস্কি পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার জব্দকৃত সম্পদ থেকে প্রাপ্ত মুনাফা দিয়ে ইউক্রেনকে অস্ত্র কেনার জন্য তহবিল গঠনের জন্য।
Leave a Reply