শীর্ষবিন্দু নিউজ: কাজী জাফর আহমদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির একাংশের (জাফর-মসিহ) কাউন্সিলে ককটেল হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের হলরুমে আজ দুপুরে এ হামলা হয়।
জাতীয় পার্টির একাংশের বিশেষ কাউন্সিল অধিবেশন শুরুর প্রাক্কালে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ ঘটনায় তিনজন আহত হন। আহত তিনজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন মিরপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের জাতীয় যুব সংহতির সহসভাপতি এরশাদ আহমেদ ও টঙ্গী ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের জাতীয় যুব সংহতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বিজয় । প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বেলা দুইটার দিকে মঞ্চে উপস্থিত হন কাজী জাফর। উপস্থাপক অধিবেশন শুরুর ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মঞ্চের কিছুটা দূরে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়ে তিনজন আহত হন।
নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দেওয়া নিয়ে মতবিরোধের জেরে গত ২৮ নভেম্বর কাজী জাফরকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। এর কিছুক্ষণ পরই সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এরশাদকেই পাল্টা বহিষ্কারের ঘোষণা দেন কাজী জাফর। নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দেওয়া বিষয়ে এরশাদকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবেও মন্তব্য করেন কাজী জাফর। এ ঘটনার ধারাবাহিকতায় গোলাম মসিহসহ জাতীয় পার্টির আরও কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্যকে নিয়ে জাতীয় পার্টির বিশেষ কাউন্সিল করার ঘোষণা দেন কাজী জাফর।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে কাজী জাফর জানান, এরশাদকে দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে বিশেষ কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হবে। বহিষ্কৃত প্রেসিডিয়াম সদস্য দলের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে পারেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী জাফর বলেন, দলের গঠনতন্ত্রের ৩৭ ধারা অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যানকে অপসারণের সুযোগ আছে।