শীর্ষবিন্দু নিউজ: মাঝখানে ঝিমিয়ে পড়লেও ইদানীং খুবই ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকরা। চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য সমাধানই এসব কূটনৈতিক তৎপরতার মূল কারণ বলে বিদেশি দূতাবাস সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
বিশেষ করে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই দৌঁড়ঝাপ বাড়ছে কূটনীতিকদের। বাংলাদেশের বিবদমান রাজনৈতিক পক্ষগুলোর পাশাপাশি নিজেদের মধ্যেও দফায় দফায় বৈঠক করছেন তারা। মাঝে দেশের সরকার ও বিরোধী পক্ষের নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকার প্রেক্ষিতে অনেকটাই হাল ছেড়ে দেন তারা। ভাটা পড়ে তাদের দৌঁড়ঝাপেও। তবে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও শুরু হয়েছে তাদের তৎপরতা। ইদানীং দুই দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন তারা।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবারও পৃথক পৃথকভাবে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে ব্যস্ত সময় কাটালেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন প্রভাবশালী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতরা। দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে ড. মোহাম্মদ ইউনূসের ভাই মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার বাসায় গিয়ে সাক্ষাত করেন।
অপরদিকে প্রায় একই সময় প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির কো চেয়ারম্যান এইচ টি ইমামের বাসায় সময় কাটান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ। তাদের মধ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। অপরদিকে বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনারের বাসায় অনুষ্ঠিত হয় কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের একটি বৈঠক।
এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউ, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন,জাপান, নরওয়েসহ বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতরা আলোচনায় বসেন। জানা গেছে, তাদের আলোচনার প্রসঙ্গ ছিলো বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন। পরে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সাতটা পর্যন্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসায় বৈঠকে বসেন ব্রিটিশ, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার রাষ্ট্রদূতরা। আসন্ন নির্বাচনই তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিলো বলে জানা গেছে। এর আগে দুপুরে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে কানাডার হাইকমিশনার হিদার ক্রডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত এস এম কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া।