শীর্ষবিন্দু নিউজ: ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথকীকরণ (ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন) পরবর্তী নতুন পর্ষদের নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, ডিএসই’র নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ও সিএসই’র ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। এই নির্বাচনে চারজন শেয়ারহোল্ডার বা ট্রেকহোল্ডার পরিচালক নির্বাচন করা হবে। নির্বাচিত চারজন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও মনোনীত সাতজন স্বতন্ত্র পরিচালক, একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ মোট ১২জন সদস্যের নতুন পর্ষদ গঠন করবে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ। যদিও ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনানুসারে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করতে বলা হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে আইনানুসারে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে ১৩ সদস্যের পৃথক পর্ষদ গঠনের কথা থাকলেও স্ট্রাটেজিক ইনভেস্টর ডিরেক্টর (কৌশলগত বিনিয়োগকারী পরিচালক) ছাড়াই পর্ষদ গঠন করা হচ্ছে বলে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। এদিকে নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনার জন্যে এরইমধ্যে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ নির্বাচন কমিশন বা কমিটি গঠন করেছে। পাশাপাশি সিএসই আপিল কমিটি গঠন করেছে।
ডিএসই’র নির্বাচন কমিশনে রয়েছেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ এম শামসুল হক (নির্বাচন কমিশনার), দিয়া সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুর রহমান সেলিম ও মার্চেন্ট সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল উদ্দিন। অন্যদিকে, সিএসই’র নির্বাচন কমিটিতে রয়েছেন- অ্যাডভোকেট ওয়াহিদা ইসলাম (চেয়ারম্যান), কমিশনার অ্যাডভোকেট মো. আক্তার হোসেন ও কমিশনার সাইদুল মোস্তফা চৌধুরী।
সিএসই’র আপিল কমিটির চেয়ারম্যান হলেন- অ্যাডভোকেট কাজী সানোয়ার আহমেদ। এ ছাড়া কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- মো. খোরশেদ আলম তালুকদার ও খান মোহাম্মদ নাদের। সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচন সংক্রান্ত নীতিমালা যাচাই-বাছাই করে সিডিউল ঘোষণা করা হবে। আর নীতিমালা অনুমোদনের পরের দিন থেকে নূন্যতম ২১ দিনের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।